নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রধান প্রধান সড়কের পাশে দোকান বা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকতে দেখা গেলেও ভিতরে ভিতরে চলছে সকল কার্যক্রম । খোদ নারায়ণগঞ্জ থানার কয়েক গজের মধ্যেই প্রায় সকল দোকান কৌশলে খোলা রেখেছে দোকানীরা । মার্কেট খোলা, কলকারখানা খোলা ! কোথায় লকডাউন ? নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর প্রায় প্রতিটি মার্কেটের সামনে সিকিউরিটি বসিয়ে রেখে ভিতরে ভিতরে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে দোকানীরা । কোন আইন মানতে চাইছেন না ব্যবসায়ীরা ।
এমন মন্তব্য নগরবাসীর মুখে মুখে উচ্চারিত হচ্ছে ।
শহরের ডিআইটি মসজিদ সংলগ্ন ইলেক্ট্রনিক্স মার্কেটের আপন ইলেক্ট্রনিক্স দোকানের বাইরে কলাপসিলব গেইট ও সাটার নামানো অবস্থায় ভিতরে বসে বেচাকেনা করছে দোকানের মালিক কর্মচারীরা । অসংখ্য অভিযোগের পর দুুপুর ১২টায় সদর থানা পুলিশ এসে সাটার ও গেইট খুলে দোকানোর ভিতর থেকে কর্মচারীকে আটক করে পুলিশ । এরপর আবার ছেড়েও দেয়।
এমন অসংখ্য ঘটনা ছাড়াও শহরের বর্ষন সুপার মার্কেটের দোকানদারদের সাধারণ সম্পাদক কামরুলের নেতৃত্বে কয়েকজন দোকানী মার্কেটের সামনে সিকিউরিটি গার্ড বসিয়ে রেখে ক্রেতাদের কৌশলে নীচ তলার সাটার নামিয়ে এবং তৃতীয় তলার গোডাউনে নিয়ে বেচাকেনা করছে হরহামেশা । লক ডাউনের দুইদিন যাবৎই এভাবেই কামরুল চক্র চালাচ্ছে তাদের কার্যক্রম ।
এমন ঘটনা ছাড়াও শহরের নয়ামাটি ও উকিলপাড়ার হোসিয়ারী পল্লিতে কোন ধরণের রাখ-ঢাক ছাড়াই বেচাকেনার চিত্র দেখা যাচ্ছে গত দু্ই দিন যাবৎ । শহরের মীনা বাজার স্বর্ণ পট্টি, কালীরবাজার স্বর্ণপট্টি, শহরের রিন্টিং প্রেস, নিষিদ্ধ পলিথিনের দোকান, জুতার দোকানসহ ফুটপাাতেও দোকানীরাও চাকাযুক্ত ভ্রাম্যমান দোকান নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ।
কৌশলে শহরের অনেক মার্কেটের দোকানী কর্মচারী ও ক্রেতাদের সাথে আলোচনা করে জানা যানা যায়, কিসের লকডাউন ? কে মানে ? সরকারের কাম সরকার করছে আমাদের কাম আমরা করতেছি । লকডাউনের শুরুর দিন এসপি জায়েদুল আলমের শো ডাউনের পর শহরের কোথাও কোন পুলিশ মাইকিং করে নাই । শহরের ফুটপাতের প্রতিটি হকার যেমন নিয়মিত মাসোয়ারা দিয়ে শহরকে জিম্মি করে রেখেছে ঠিক তেমনি অসাধু অসংখ্য ব্যবসায়ী নারায়ণগঞ্জ থানার ক্যাশিয়ার ডিবি পুলিশের ক্যাশিয়ার ও সিআইডির ক্যাশিয়ার কে নিয়মিত মাসোয়ারা দিয়ে অপরাধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে । ফলে অসাধু ব্যবসায়ীরা থাকে ধরা ছোয়ার বাইরে । ঠিক তেমনি এই লকডাউনের আগে থেকেই অসাধু ব্যবসায়ীরা আইনশৃংখলা বাহিনীর ওই সকল ক্যাশিয়ারদের সাথে যোগাযোগ করে লকডাউনে তাদের অপকর্ম চালু রাখতে নিজেদের পথ খোলা রেখেছে । যার কারণে পুলিশের গাড়িতে মাইক থাকলেও মাইকিং হয় না ! এবার বুঝেন কোথায় আছি আমরা ? এসপি জাহিদুল আলমসহ অন্যান্য পুুলিশ কর্মকর্তারা লকডাউনের প্রথম দিন বুধবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে শহরে শো ডাউনের পর আর সেই চিত্র দেখা যাচ্ছে না । পুলিশের পক্ষ থেকে পেশাদারিত্ব না থাকার ফলে লকডাউনের মতো সরকারের কঠোর আদেশ ভেঙ্গে পরেছে । এভাবেই মন্তব্য করেছেন অনকে অসাধু ব্যবসায়ী ।
খোজ নিয়ে আরো জানা যায়, প্রায় প্রতিটি দোকানী তাদের দোকানের সামনে ও আশেপাশে হাটাহাটি করতে দেখা গেলেও মূলতঃ এই দোকানীরা দোকান বন্ধ রাখলেও কর্মচারীকে গোডাউনে বেসিয়ে রেখে বেচাকেনা করছে কৌশলে ।








Discussion about this post