ফেসবুকের একটি গ্রুপে মাওলানা মামুনুল হককে বহনে ব্যবহৃত ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো গাড়ীর ছবি প্রকাশের পর নিমিষেই ভাইরাল হয় পোস্টটি। দেড় কোটি টাকা মূল্যের গাড়ীটির মালিক মামুনুল হক দেখিয়ে খবর প্রচারের পর সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার স্বীকার হন হেফাজতের এই নেতা । এরপরই এই ঘটনার আসল রহস্য তুলে ধরেন মাওলানা সাইফ রাহমান।
মাওলানা সাইফ রাহমান এ বিষয়ে বলেন – গত ২ ফেব্রুয়ারি মাওলানা মামুনুল হক সাহেব সিলেটের হোটেল ডালাসে তার সাংগঠনিক প্রোগ্রাম শেষ করে তিনি নিজের গাড়িতে না উঠে ঐ ব্যবসায়ীর দামি গাড়িটিতে উঠেন সিলেটের গহরপুরের সুলতানপুরের উদ্দিশ্যে যাওয়ার জন্য। সেখানে শাহ সুলতান রহ. সমাজ কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে বাদ মাগরিব বয়ান ছিলো তার। ছাতকের এই ব্যবসায়ী গাড়িটা নতুন কিনেছেন। মামুনুল হক সাহেবের বরকত পাওয়ার জন্য তিনি তার গাড়িতে মামুন সাহেবকে তুলেন। তারপর এই গাড়িতে করেই তারা সুলতানপুর যান। এরপর সুলতানপুর বয়ান শেষে এই গাড়িতে করেই সিলেটের ছাতক দারুল উলুম মাদরাসার উদ্যোগে ছাতক পৌরসভা সংলগ্ন মাঠে বয়ান করেন তিনি।
মাওলানা সাইফ রাহমান দাবি করে বলেন – কোন যাচাই ছাড়া “মামুনুলের দেড় কোটি টাকার বিলাসবহুল গাড়ি : ফেসবুকে বিতর্কের ঝড় যে কারণে” শিরোনামে ‘ডিবিসি নিউজ ৭১’ যে নিউজ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যারা এটাকে লুফে নিয়ে ছবি দিয়ে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন তাদের ব্যাপারেও তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন।
তিনি আরও বলেন – নিউজে বলা হয়েছে, কোন গাড়ি কোম্পানি থেকে নাকি তারা খবর নিয়েছে। গাড়ি কোম্পানি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এটি দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট মিথ্যা কথা !
যারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তাদের উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন – আপনারা মিথ্যা বানোয়াট তথ্য কেন ছড়াচ্ছেন, আল্লাহ মালুম। একজন মানুষকে বিতর্কিত করতে শেষপর্যন্ত মিথ্যার আশ্রয় নিতে হচ্ছে কেন আপনাদের! সত্য কিছু তুলে ধরুন। জাতিকে জানান। অযথা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে দিনশেষে ক্ষতি তো আপনাদেরই হচ্ছে।
তিনি বলেন – মামুনুল হক এরকম গাড়ি একসাথে পাঁচটা রাখার ক্ষমতা রাখেন। ডানে বামে সামনে পেছনে। তাঁকে হাদিয়া দেয়ার মানুষের অভাব নেই। কিন্তু তিনি যেটা করেননি, সেটা কেন আপনারা ফলাও করে প্রচার করছেন, বুঝে আসেনা। সুতরাং সত্য সমাগত, মিথ্যা বিতাড়িত।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআটি মসজিদে গত ৩১ মার্চ মাওলানা আবদুল আউয়াল হেফাজত ইসলাম থেকে পদত্যাগের ঘোষানার মান অভিমান ভাঙ্গাতে দলের যুগ্ন-মহাসচিব মামুনুল হকসহ ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি জুনায়েদ আল হাবীব, যুগ্ন-মহাসচিব ফজলুল করীম কাসেমী, যুগ্ন-মহাসচিব মুফতি নাসির উদ্দিন মনির আসেন নিজ নিজ গাড়ীযোগে ।
হেফাজত ইসলামীর যুগ্ন-মহাসচিব মামুনুল হক ডিআইটি মসজিদে আসেন টয়োটা প্রিমিও ঢাকা মেট্রো -গ ৪২-৬০৩৩ নম্বর গাড়ীতে চড়ে । এই গাড়ীর ড্রাইভার বুধবার (৩১ মার্চ) বিকেলে গলমাধ্যমকর্মীদের বলেন, “এই টেক্সী মামুনুল হুজুরের । তিনি এই গাড়ীতে কখনো নিজে ড্রইভ করেন আবার বেশীরভাগ সময়ে আমিই গাড়িটি চালাই । গাড়ীটির বর্তামান দাম ৩০ -৩২ লাখ টাকা হইবো ।“
নারায়ণগঞ্জের ডিআইটি মসজিদে মাওলানা আবদুল আউয়ালের সাথে গোপন বৈঠক শেষে তার (আউয়াল) মান ভাঙ্গিংয়ে চলে যাবার মাত্র তিন দিনের মধ্যে সোনারগাঁয়ে রিসোর্ট কন্ডের কারণে চরম বিতর্কের মধ্যে পরেন মামুনুল হকসহ হেফাজত ইসলাম সংগঠনটি । এমন বিতর্কের মধ্যে অতি উৎসাহী অনেকেই নানা কল্পকাহিনী তৈরী করে মামুনুল হকের কোটি টাকার দামী গাড়ী ফেসবুকে পোস্ট করে সমালোচনার সৃষ্টি করেন ।
এমনতাবাস্থায় নারায়ণগঞ্জ ডিআইটি মসজিদের মাওলানা আবদুল আউয়াল ও হেফাজত ইসলাম সমর্থিত অনেকেই প্রশ্ন করেছেন এক কোটি টাকা মূল্যের ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো গাড়ীর ছবি প্রকাশ করে যে বিতর্ক করার চেষ্টা হয়েছে তাহলে মামুনুল হক ডিআইটি মসজিদে আসেন টয়োটা প্রিমিও ঢাকা মেট্রো -গ ৪২-৬০৩৩ নম্বর গাড়ীতে চড়ে সেই গাড়ীটি নিয়ে কি বলবেন হেফাজত ও মামুনুল হক বিরোধী চক্র ? শুক্রবার ১৬ এপ্রিল জুম্মা নামাজের পূর্বে এমন প্রশ্ন ছিলো অনেক মুসুল্রীর মুখে ।









Discussion about this post