নিজস্ব প্রতিবেদক
ফতুল্লার নরসিংপুর থেকে গৃহবধূ বৃস্টি আক্তার মরিয়মের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নিহত গৃহবধূর পিতা বাদী হয়ে স্বামী হেলাল কে অভিযুক্ত করে আত্নহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে।
সোমবার সকালে নিহত গৃহবধূর পিতা মোঃশাহিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, এক বৎসর পূর্বে বরগুনা জেলার আমতলী থানার চাওড়া গ্রামের রমজান মিয়ার ছেলে হেলালের সাথে টাঙ্গাইল জেলার মাধবপুর থানার আমতলী থানার মৃত হাতেম আলীর মেয়ে নিহত গৃহবধূ বৃস্টি আক্তার মরিয়মের সাথে পারিবারিক সম্মতিক্রমে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে উভয়ে ফতুল্লা থানার উত্তর নরসিংপুর বাবুল মিয়ার বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছে এবং হেলাল একটি রং ফ্যাক্টরীতে কর্মরত রয়েছে।
গত শনিবার (১৭এপ্রিল) জেলার সদর উপজেলার ফতুল্লায় বৃস্টি আক্তার মরিয়ম (১৮) নামক এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। রোববার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে ফতুল্লার উত্তর নরসিংপুর বাবুলের ভাড়াটিয়া বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহরের জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর স্বামী হেলাল উদ্দিন (২২) কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে পুলিশ জানায়। আটককৃত হেলাল বরগুনা জেলার আমতলী থানার মোঃ মোশারফ হোসেনের পুত্র ।
ফতুল্লা মডেল থানার এস,আই হাসান জানান, লোক মুখে সংবাদ পেয়ে তিনি রবিবার দুপুর ১ টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে গামছায় পেচানো জানালা থেকে বৃস্টি আক্তার মরিয়মের মরদেহ উদ্ধার করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী হেলাল উদ্দিন কে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। গৃহবধূর স্বামী হেলাল উদ্দিনের বরাত দিয়ে তিনি জানান,শনিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যো ঝগড়া হয়।
আজ সকালে স্বামী বাসা থেকে বের হয়ে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বাসায় ফিরে এসে দেখতে পায় ঘরের দরজা বন্ধ।পরে পাশের ঘরের একজন কে নিয়ে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পায় স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ।









Discussion about this post