অপহৃত আতিকুল ইসলাম আতিক সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের ধুকুরিয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের নেজাব আলীর ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোলে পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম।
পুলিশ সুপার জানান, অপহৃত আতিক প্রায় ৯ মাস আগে লিলি মার্কেটিং কোম্পানির মার্কেটিং অফিসার হিসেবে সিরাজগঞ্জে কর্মরত ছিলেন। চাকরি করা অবস্থায় মোটা অংকের টাকা আত্মসাত করে আতিক নিজেই কোম্পানি খুলে পণ্য বাজারজাত শুরু করেন। বিষয়টি লিলি মার্কেটিং কোম্পানির মালিক সোহাগ জানতে পারলে আতিকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বাগবিতণ্ডা হয়। সেই ফোনের কথা রেকর্ড করে পরিবারের সঙ্গে পরামর্শ করে আতিক নিজে আত্মগোপনে থেকে কোম্পানির মালিক সোহাগের নামে ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি তার বাবা নেজাব আলীকে দিয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করান। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২৬ জানুয়ারি সোহাগকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠান।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে অপহৃত আতিক ঢাকায় কর্মরত আছেন- এমন তথ্য বার বার সোহাগের পরিবারের পক্ষ থেকে দিলেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ তা আমলে নেননি। কোন উপায় না পেয়ে ঘটনাটি পিবিআই পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করে পরিবার। পরবর্তীতে বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করে পিবিআই। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে পিবিআই টিম নিশ্চিত হয় যে, অপহৃত আতিক নারায়গঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন ভুলতা এলাকায় অবস্থান করছে।
এমন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার (২১ এপ্রিল) ভুলতা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এন জেড টেক্সটাইল গ্রুপ লিমিটেডে কর্মরত অবস্থায় আতিককে উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) অপহৃত আতিককে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, লিলি কোম্পানির মালিককে শিক্ষা দেওয়ার জন্যই নিজে আত্মগোপনে গিয়ে তার পিতাকে দিয়ে অপহরণ নাটক সাজিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
পিবিআই পুলিশ সুপার আরও জানান, অপহরণের নাটক সাজানো ও একজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে মামলা দিয়ে জেলে রাখার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার।









Discussion about this post