হেফাজত ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা।
তিনি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে।
আজ শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) সকালে মামলা দায়েরর পর তাকে মেডিকেল টেস্টের জন্য নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জনের অনুমতিক্রমে জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর পর স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্নের পর জান্নাত ঝর্ণার ছেলের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয় ।
স্বাস্থ্য পরীক্ষায় পর নারায়ণগহ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফসার (আরএমও) ডাক্তার আসাদুজ্জামান নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, ভিকটিম জান্নাত আরা ঝর্ণার শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে । আগামী এক সপ্তহের মধ্যে আমরা রিপোর্ট দিয়ে দিতে পারবো ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রিসোর্টকাণ্ডের পর পরিচিতদের বাসায় জোরপূর্বক আটকে রাখা হয় তাকে। এ সময় তাকে তার বাবা-মার সঙ্গেও যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি। প্রথম স্বামী শহীদুলের সঙ্গে সংসার ভাঙার মাস্টারমাইন্ডও ছিল মামুনুল।
এর আগে, ৩ এপ্রিল হেফাজত নেতা মামুনুল হক নারীসহ নারায়ণগঞ্জের রয়েল রিসোর্টে ধরা পড়েন। তখন তিনি ওই নারীকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেন। পরে প্রথম স্ত্রী আমেনা তৈয়বার সঙ্গে একটি ফোনালাপ ফাঁস হয় তার। যেখানে মামুনুল বলেন, জনরোষ থেকে বাঁচতেই জান্নাত আরা ঝর্ণাকে দ্বিতীয় স্ত্রীর পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি।
১৮ এপ্রিল মামুনুল গ্রেপ্তার হলে জিজ্ঞাসাবাদে রিসোর্টকাণ্ড নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। পরের দুই নারীর সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক সম্পর্ক করেন মামুনুল। এরপর জান্নাত আরা ঝর্ণাকে মামুনুলের বোনের মোহাম্মাদপুরের বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। দেওয়া হয় বাবার জিম্মায়।
হেফাজত নেতা মামুনুল হক বর্তমানে দ্বিতীয় দফায় পুলিশের রিমান্ডে রয়েছেন। পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং তার ব্যাংক হিসাবে ৬ কোটি টাকার অর্থের সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ ।









Discussion about this post