এনএনইউ রিপোর্ট :
শেষ পর্যন্ত নানা অপকর্মের পর সদর মডেল থানার দারোগা (এসআই) নাজমুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সবশেষ দারোগা নাজমুলের বিরুদ্ধে পাইকপাড়ার বাসিন্দা সাবেক ফুটবলার সালাউদ্দিন দেওয়ানকে মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে । এর আগে র্যাব কর্তৃক আটক প্রাইমারী এক শিক্ষককে পিটিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবী করেছিলো ।
এ ছাড়াও প্রতিদিন দারোগা নাজমুল অবৈধভাবে অর্থ আদায় করতে সাধারণ মানুষকে নানভাবে হয়রানীর অভিযোগে কর্মকর্তারা সতর্ক করলেও তাকে থামাতে পার নাই কেউ । পুলিশের অনেক সদস্য দারোগা নাজমুলের এমন অপকর্মের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানায়, নাজমুল পুলিশের কন্সষ্টেবল । পুলিশের পোলা হওয়ার কারণে নাজমুল চাকুরী নেয়ার আগেই কি কেরে সাধারণ মানুষকে হয়রানী করতে হয় তা আগেই শিখে নিয়েছে বলেই এমন অপরাধ করে পুলিশের সুণাম নষ্ট করছে।
মঙ্গলবার ২২ জানুয়ারি দুপুরে তাকে প্রত্যাহার করে শহরের মাসদাইরে জেলা পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, মূলত প্রশাসনিক কারণে এসআই নাজমুলকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
২০ জানুয়ারি রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। ওই সময় শহরের পাইকপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে সালাউদ্দিনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে সদর মডেল থানা পুলিশ। পরবর্তীতে তাকে ১০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। সোমবার (২১ জানুয়ারি) তাকে আদালতে পাঠালে আদালত সালাউদ্দিনকে কারাগারে পাঠায়।
সদর থানায় আটক থাকা অবস্থায় সালাউদ্দিন দেওয়ান জানিয়েছিলেন, রোববার (২০ জানুয়ারি) দিনগত রাত ১টায় তাকে ঘুম থেকে তুলে এনে মাদকের মামলা দিয়েছে পুলিশ।
রবিবার রাতে কাউন্সিলর আব্দুল করীম বাবুর সহযোগিতায় পুলিশ তার নিজ বাড়ি থেকে তুলে আনে। পরে রাতভর চলে দরকষাকষি। দাবী করা হয় ৫ লাখ টাকা। টাকা দিলে সালাউদ্দিনকে ছেড়ে দেবার কথা বলে পুলিশ গ্রেফতারকৃতের পরিবারকে বলা হয়। অপারগতায় ৫ লাখ নেমে আসে ৩ লাখ টাকায়। এক পর্যায়ে পরিবারকে থানায় বসিয়ে রেখেই বেদম পেটানো হয় সালাউদ্দিন দেওয়ানকে।
পাইকপাড়ার আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতা খালিদ হাসান জানিয়েছেন, সালাউদ্দিন দেওয়ান একেবারেই একজন ভদ্রলোক হিসাবে এলাকায় পরিচিত। তিনি ইয়াবা ব্যবসা করাতো দূরের কথা তিনি তার জীবনে একটি সিগারেটও পান করেননি। পাইকপাড়ার সকল মানুষই এটা জানেন। সালাউদ্দিন দেওয়ান পাইকপাড়ার দেওয়ান বাড়ির পরিচিত একজন মানুষ। তিনি ওই এলাকার স্থায়ী একজন বাসিন্দা এবং পরিচিত মুখ। তাকে ধরে এনে পুলিশ মিথ্যা মাদকের মামলা দেয়ায় আমরা সত্যি হতাশ এবং মর্মাহত।
এদিকে পাইকপাড়া নিবাসী নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা যুবলীগের সভাপতি আবদুল কাদির বলেন, কাউন্সিলর বাবুর অত্যাচারে এলাকাবাসী এখন অতিষ্ঠ। তিনি বলে এলাকার কাউন্সিলর হিসাবে তার নিয়ন্ত্রনেই রয়েছে ওই এলাকা। সব ধরনের অপরাধীরাও রয়েছে তার নিয়ন্ত্রনে। বাবু সব ধরনের অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
এখন যিনিই তার কোন অপকর্মের প্রতিবাদ করেন তাকেই সে নিজে এবং তার বাহিনী মারধর করে। আর পুলিশকে ব্যাবহার করে ফাঁসিয়ে দেয়। তিনি বলেন সালাউদ্দিন দেওয়ান একজন ভাল মানুষ। অথচ পুলিশ তাকে ধরে এনে মারধর করেছে এবং ১০০ পিছ ইয়াবা দিয়ে মামলা দিয়েছে। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে আহবান জানাচ্ছি।









Discussion about this post