নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসংখ্য অসাধু কর্মকর্তা এবং অসাধু রাজনীতিবিদদের ছত্রছায়ায় সামান্য টোকাই থেকে শত কোটি টাকার মালিক সিদ্ধিরগঞ্জের তেলচোরচক্রের একাংশের গডফাদার আশরাফের বিরুদ্ধে আদালত ওতারেন্ট জারি করলেও এখনো ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে এই কুখ্যাত অপরাধী ।
জ্বালানী তেল চোরদের মূল হোতা এই আশরাফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে হেফাজতের নাশকতার মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) জারি হয়েছে।
ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানায় দায়ের করা মামলায় এই ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়।
যাত্রাবাড়ি থানার এফআইআর নং-১১৭/৩৮০। গত ২৮ মার্চ হেফাজতের হরতাল চলাকালে ওইদিন দিবাগত রাতে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে। ওই মামলায় আশরাফ পিতা-বাচ্চু মিয়া, এসওরোড বায়রা বাড়ী, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জকে আসামী করা হয়। যাত্রবাড়ি থানা থেকে ওয়ানেন্টটি তামিল করার জন্য সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পাঠানো হয়েছে বলে সূত্র জানায় ।
এলাকাবাসী জানায়, আশরাফ বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হিসেবে পরিচিত থাকলেও ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর নিজেকে যুবলীগ নেতা হিসেবে জাহির করার চেষ্টা চালাচ্ছে। বর্তমানে সে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পারেশন (নাসিক) ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মতিউর রহমান মতির সেল্টারে সিদ্ধিরগঞ্জের জ্বালানী তেল চুরির একপক্ষের গডফাদার হিসেবে সর্বজনের কাছে স্বীকৃতি লাভ করেছে ।
শুধু আশরাফ ই নয় দীর্ঘদিন যাবৎ তেলচোরাচক্রের এই একাংশের গডফাদার আশরাফ ও তার বাবা বাচ্চু মিয়া মিলেমিশেই জ্বালানী তেলচুরির কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে অবিরামভাবে । আর বিগত সময়ে পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করায় পুলিশ ম্যানেজে মহাপটু আশরাফ খুব ভালো করে ই জানেন কি করে ম্যানেজ করতে হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের । তাই ওয়ারেন্ট থাকার পরও এখনো অধরা অপরাধী চক্রের এই হোতা।
তারা আরও জানায়, এক সময় মো. আশবাফ উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী, রনি, মহিউদ্দিন একসাথে বিএনপি’র নেতা সামসু পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতো। আর এই পুলিশের ছত্রছায়ায় তারা বিভিন্ন অপকর্ম নিজ ক্ষমতার বলে করতো। বর্তমানে তাদের মধ্যে মোহাম্মদ আলী নেই কারণ তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় ২০১৪ সালের পর মেঘনা ডিপোর দায়িত্ব নিয়েই ডিপোর ইনচার্জ খান নিজামুল করিমের সাথে যোগসাজেসে অনিয়ম করে তেল পাচার করে মোটা অংকের টাকার মালিক হয়েছে মো. আশরাফ উদ্দিন।
এলাকাবাসী আরও জানায়, আশরাফসহ তার সহযোগীরা শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে তেলবাহি জাহাজ থেকে রাতের আধারে তেল পাচার করে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। প্রচুর টাকার মালিক বনে গেছে সে। অথচ গত ১০ বছর আগে সে কত টাকা মালিক ছিল তা তদন্ত করলেই বের হয়ে আসবে আশরাফের ‘ আলাউদ্দীনের আশ্চর্য প্রদীপে’র কাহিনি ।।
তাই অনুসন্ধান করতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এলাকাবাসী। পাশাপাশি তার এই তেল চোরাই কারবারি বন্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপানের দৃষ্টি আকর্ষন করছেন এলাকাবাসী।









Discussion about this post