ভারতের আইপিল ক্রিকেটরে অনলাইন জুয়ার দুইজন এজেন্টকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
জেলার আড়াইহাজার থানাধীন প্রভাকরদী বাজার এলাকায় ৬ মে বিকেলে শহীদুল ইসলাম (৩৪) ও রূপগঞ্জ থানাধীন সাওঘাট এলাকায় ৭ মে রাতে মো. হোসেন গাজীকে (২৫) গ্রেফতার করা হয়।
দুইজনের কাছ থেকে তিনটি করে ৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, চলমান জনপ্রিয় ক্রিকেট আসর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল) এর ক্রিকেট ম্যাচকে কেন্দ্র করে অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন জুয়ার সাইট ব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ও রূপগঞ্জ এলাকায় কিছু অনলাইন জুয়ার এজেন্ট উঠতি বয়সী তরুণদের জুয়া খেলায় প্রলুুব্ধ করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছে।
অনলাইন জুয়ার এই এজেন্টরা অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন জুয়ার সাইটে নামে-বেনামে আইডি খোলে এবং ক্রিকেটপ্রেমী তরুণদের ক্রিকেট ম্যাচ কেন্দ্রিক বাজিতে অংশগ্রহণে প্ররোচিত করে বিপুল অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করে।
কয়েকজন ভুক্তভোগীর করা অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-১১ কর্তৃক ঘটনার গভীর অনুসন্ধান করে সত্যতা পেয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানাধীন প্রভাকরদী বাজার ও রূপগঞ্জ থানাধীন সাওঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে উক্ত চক্রের সক্রিয় ২ জন জুয়ার এজেন্টদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও তাদের নিকট হতে জব্দকৃত মোবাইল পর্যালোচনা করে জানা যায়, তারা সরকারী অনুমোদনবিহীন বিভিন্ন ই-ট্রানজেকশনের সাইটে আইডি খুলে অবৈধভাবে আর্থিক লেনদেন করে।
তারা অনলাইন জুয়ার সাইট এ এজেন্ট আইডি নিয়ে সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমী তরুণ ও যুবকদের আইডি খুলে দিয়ে অনলাইনে বাজির মাধ্যমে জুয়া খেলায় প্রলুব্ধ করে। ক্রিকেটপ্রেমী তরুণরা তাদের আইডি দিয়ে ক্রিকেট বাজিতে অংশগ্রহণ করে হেরে গেলে এই এজেন্টরা ১৫% হারে অর্থ কমিশন লাভ করে। কমিশন লব্ধ অর্থ তারা সরকারী অনুমোদনহীন ই-ট্রানজেকশনের মাধ্যমে লেনদেন করে অনলাইন জুয়ার প্রসার ঘটিয়ে আসছে।
জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এই অনলাইন জুয়ার এজেন্টরা পরষ্পরের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে সংঘবদ্ধ হয়ে অনলাইন জুয়ার বিস্তার ঘটিয়ে আসছে। অনলাইনে অবৈধ জুয়া খেলার এই ধরনের চক্রের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।









Discussion about this post