২০ বছর পূর্বে ২০০১ সালের ১৬ জুন। নারায়ণগঞ্জের শান্ত সন্ধ্যাটি হঠাৎ প্রকম্পিত হয়ে ওঠে প্রবল বিস্ফোরণে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংঘটিত সেই বিস্ফোরণে মেঝে ভরে ওঠে রক্তে, চারদিক শুরু হয় আর্তনাদ। এ ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২০ জন। চিরদিনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন অনেকেই। এরপর কেটে গেলো ২০টি বছর।
সেই ঘটনায় দায়ের করা মামলা ও তার বিচার প্রক্রিয়া সবই শুরু হয়েছে।
নৃশংস এমন বোমা হামলার ঘটনার বিচার এখনও শেষ হয়নি। কেবল সাক্ষী হাজির হওয়া, না হওয়া, আসামি হাজির হওয়া, না হওয়া নিয়ে জটিলতায় মামলা চলছে ধীর গতিতে। এ কারণে মামলা আর শেষ হচ্ছে না। এ দিকে, বছর ঘুরেই দিনটি এলেই আহত-নিহতদের নিয়ে নানা কথায় আলোচিত হয় নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলা দিবসটি।
২০ বছর যাবৎ নিহতের পরিবারের লোকজন চোখের জল ফেললেও তাদের অনেকের অভিযোগ, এ ঘটনা নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দল রাজনীতি করেছে। রাজনৈতিক কূট-কৌশলের ফাঁদে মামলা পাল্টা মামলায় আপনজন হারিয়েও মামলা করতে পারেননি স্বজনরা। এ কারণেই রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘাতকদের বিচার কাজটি সম্পন্ন হয়নি আজও।
এদিকে, ১৬ জুনের বোমা হামলার ঘটনার প্রধান আসামি হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানের বিরুদ্ধে সারাদেশে অনেক মামলা থাকায় যথাসময়ে তাকে নারায়ণগঞ্জ হাজির করা হচ্ছে না। এর ফলে বারবার সাক্ষ্য গ্রহণ পেছাচ্ছে।
দীর্ঘ একযুগ পর মামলার চার্জশিট
মামলার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে তদন্তাকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)-এর নারায়ণগঞ্জ অফিসের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) এহসান উদ্দীন চৌধুরী বিগত সময়ে গণমাধ্যম কে জানিয়েছেন, ঘটনার দীর্ঘ ১২ বছর পর দু’টি মামলায় ২০১৩ সালের ২ মে ৬ জনকে অভিযুক্ত ও ৩১ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে দু’টি মামলার প্রত্যেকটির ৯৪৭ পাতার চার্জশিট দাখিল করা হয়। চার্জশিটে অভিযুক্ত ৬ জন হলেন নারায়ণগঞ্জে ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত যুবদল ক্যাডার মমিনউল্লাহ ডেভিডের ছোট ভাই শাহাদাতউল্লাহ জুয়েল, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান, ওবায়দুল্লাহ রহমান, ভারতের দিল্লি কারাগারে আটক আনিসুল মোরসালিন, মুহিবুল মুত্তাকিন এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু; যিনি একই সঙ্গে নগর বিএনপি নেতা। অভিযুক্তদের মধ্যে জামিনে থাকা কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু ও ওবায়দুল্লাহ রহমান ছাড়া অন্যরা কারাবন্দি।
তদন্তকারী কর্মকর্তার দৃষ্টিতে বোমা হামলার কারণ
ইতোমধ্যে চার্জশিট দেওয়া মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি নারায়ণগঞ্জ অফিসের সহকারী পুলিশ সুপার এহসান উদ্দীন চৌধুরী বোমা হামলার কারণ সম্পর্কে তিনি গণমাধ্যম কে জানিয়েছেন, ওই সময় শামীম ওসমান জামায়াতের শীর্ষ নেতা গোলাম আযম, দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদসহ অনেককে নারায়ণগঞ্জে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। এ কারণেই মুফতী হান্নান নারায়ণগঞ্জের কয়েকজন পথভ্রষ্ট বিএনপি নেতাকে নিয়ে শামীম ওসমানকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। জঙ্গি হামলার অর্থের জোগানদাতা ও পরিকল্পনাকারী ছিলেন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) মুফতী হান্নান। জামায়াতের মদদেই হরকাতুল জিহাদের উত্থান ঘটে। তিনি আরও জানান, ৮জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল মামলায়। তার মধ্যে মমিনউল্লাহ ডেডিভ ও কাজল নামের দুজন ইতোমধ্যে মারা গেছেন। এ কারণে ৬জনকেই মূল অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্তদের মধ্যে মুফতি আবদুল হান্নানের ইতিমধ্যেই ভিন্ন মামলায় মৃত্যু দন্ড কার্যকর হলে বর্তমানে শুধুমাত্র জুয়েল কারাবন্দি রয়েছে । ওবায়দুল্লাহ ও শওকত হাশেম জামিনে। আর মোরসালিন ও মুত্তাকিম ভারতের জেলে।
এহসান আরও জানান, মামলাটির চার্জশিট দেওয়া ও তদন্তের ক্ষেত্রে কোনও ধরনের রাজনৈতিক চাপ ছিল না। সম্পূর্ণ নিরপক্ষে তদন্তেই চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
কালো ব্রিফকেসে বোমা এনেছিলেন মোরসালিন ও মোত্তাকিম
প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির নারায়ণগঞ্জ শাখার এএসপি এহসানউদ্দীন চৌধুরীকে জানান, ২০০১ সালের ১৬ জুন বিকেলে চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগ অফিসে এসেছিলেন ওবায়দুল নামের এক ব্যক্তি। তার বাড়ি শহরের চাষাঢ়ায় চকলেট ফ্যাক্টরি মোড় এলাকাতে। তিনিসহ মোট ৩জন এসেছিলেন আওয়ামী লীগ অফিসে। রাত ৭টার দিকে তারা শামীম ওসমানের ব্যক্তিগত কক্ষে গিয়ে কথা বলেন। তারা এসেছিলেন আমেরিকার ভিসার জন্য সুপারিশ করতে।
৩ জন এলেও মূলে ছিলেন উবায়দুল্লাহ ওরফে উবায়দুল। তিনিই মূলত আমেরিকা যাওয়ার জন্য বেশ কিছু কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে আসেন। শামীম ওসমানের সঙ্গে তিনি কথা বলে ওই কাগজপত্রে সুপারিশ চান। কিন্তু শামীম ওসমান তা দিতে প্রথমে অনীহা প্রকাশ করেন। ওই সময়ে উবায়দুল হঠাৎ করেই শামীম ওসমানের সামনে টেবিল চাপড়ে বলেন, ‘আমার জন্য কেন সুপারিশ করবে না, দেবে না কেন, আমরা তোমার মহল্লার লোক। আমাদের জন্য না করলে কার জন্য করবে?’
শামীম ওসমান তাকে বলেন, ঢাকার মার্কিন দূতাবাস সংসদ সদস্যদের সুপারিশে ভিসা দেয় না। তার পরও উবায়দুল হক সুপারিশের জন্য পীড়াপীড়ি করতে থাকেন।
উবায়দুলের সঙ্গে আসা ২ জনের একজনের হাতে ছিল কালো ব্রিফকেস। দুই যুবক ফটোকপি করা একটি আবদেনপত্রে শামীম ওসমানের সুপারিশসহ সই চান। এর মধ্যে ওবায়দুল হক দ্রুত বেরিয়ে যান। ওই সময়ে শামীম ওসমানের প্রবল প্রভাব ছিল। কিন্তু ওই মুহূর্তে শামীম ওসমানের টেবিল চাপড়ে ওবায়দুলের মতো একজন ব্যক্তির সে আচরণে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে ওঠেন রুমে থাকা অন্যরা। তারা অনেকটা ফ্যাল-ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকেন উবায়দুলের দিকে।
ওবায়দুল অনেকটা উত্তেজিত থাকলেও অন্য ২ জন ছিলেন বেশ নীরব। তারা বসে শুধু ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন। টেবিল চাপড়ানো ওবায়দুলকে গ্রেফতার করলেও পরে জামিনে মুক্তি পান। তিনি বর্তমানে পুরনো ঢাকায় বসবাস করছেন।
উবায়দুলের সঙ্গে আসা দুজনই মোরসালিন ও মুত্তাকিম ছিলেন। ২০০৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের রাজধানী দিল্লির একটি রেল স্টশন থেকে হরকাতুল জিহাদের দুই জঙ্গি সহোদর আনিসুল মোরসালিন ও মুহিবুল মুত্তাকিনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বাড়ি বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলায়। তারাও বোমা হামলার ঘটনা স্বীকার করেছেন। তারা বর্তমানে দিল্লি কারাগারে বন্দি। ২০০৫ সালের ১ অক্টোবর গ্রেফতার হন হরকাতুল জেহাদের অন্যতম নেতা মুফতি আবদুল হান্নান। গ্রেফতারের পর তিনি র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার নিকট দেওয়া জবানবন্দিতে চাষাড়া বোমা হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
মামলার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে তদন্তাকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) নারায়ণগঞ্জ অফিসের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) এহসান উদ্দীন চৌধুরী আরো জানিয়েছেন, ভারতে বন্দি দু’জনকে দেশে আনার জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়েছে।
ভালো নেই নিহত-আহতদের পরিবারের সদস্যরা
২০০১ সালের ১৬ জুন চাষাঢ়া আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন চন্দন শীল। ঘাতকের বোমা তার দুটি পা চিরকালের জন্য কেড়ে নিলেও নেভাতে পারেনি জীবন প্রদীপ। সেই চন্দন শীল এখনো আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন ।
‘চন্দন শীল বলেন, ‘২০০১ সালের বোমা হামলার ঘটনার পর অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। টাকার অভাবে জার্মানিতে পুরোপুরি চিকিৎসা করাতে পারিনি। যতটুকু হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তৎকালীন এমপি শামীম ওসমানের বদৌলতে। জার্মানি থেকে ফিরে ভারতে চিকিৎসারত অবস্থায় আর্থিক সংকটে পড়েছি। এমনও দিন গেছে তিন বেলার জায়গায় দুই বেলা খেয়েছি। বাসা ভাড়ার টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হয়েছে। দেশে ফিরে আসার পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার বিভিন্নভাবে নাজেহাল করার চেষ্টা করেছে।
নারায়ণগঞ্জে বোমা হামলার শিকার হয়ে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন রতন কুমার দাস। কিন্তু পা দুটোকে সারাজীবনের জন্য হারাতে হয়েছে। হাঁটুর ওপর থেকে কেটে ফেলতে হয়েছে। কৃত্রিম পা লাগিয়ে চলাফেরা করেন। তিনি বলেন, প্রতি সপ্তাহের শনি ও সোমবার সাধারণ মানুষের কথা শুনতেন সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। সভার শেষ মুহূর্তে পায়ের একটু সামনে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ। চোখের সামনে আগুনের গোলা। কোনও কথা বলতে পারছিলাম না। কোমরের নিচ থেকে দুই পা বিচ্ছিন্ন। চারদিকে শুধু লাশ আর লাশ। শরীর থেকে মাংস বিচ্ছিন্ন হয়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে ছিল ক্লাবের সামনে। রক্তের স্রোত বয়ে গেছে। নিথর দেহের পাশে আহতদের গোঙানির শব্দ যেন মৃতপুরী। পা নেই তবু সংজ্ঞা হারাইনি।
নিহত নজরুল ইসলাম বাচ্চুর স্ত্রী হামিদা বেগম জানান, দুই মেয়ের লেখাপড়ায় অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে। টিউশনি করে, সরকারি তোলারাম কলেজে গানের শিক্ষক ও নারায়ণগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে গানের শিক্ষক হিসেবে কাজ করেই সংসার চালাই। এভাবে দুই মেয়েকে বড় করেছি।
১৬ জুন বোমা হামলায় ওই সময়ে ফতুল্লা থানা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক পলি বেগম নিহত হন। তিন সন্তানদের মধ্যে এক ছেলে আর এক মেয়ে এলাকাতে একটি দর্জি দোকান দিয়ে সংসারের হাল টানছেন।
নৃশংস সেই বোমা হামলা
২০০১ সালের ১৬ জুন শহরের চাষাঢ়াস্থ আওয়ামী লীগ অফিসে দেশের ভয়াবহ নৃশংস বোমা হামলায় মারা যান ২০ জন। সেদিন আহত হয়েছিলেন অর্ধ শতাধিক, অনেকেই বরণ করে নিয়েছেন পঙ্গুত্ব, কেঁদে উঠেছিল নারায়ণগঞ্জবাসী। ঘটনাস্থলে ১১ জন ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মৃত্যু ঘটে ৯ জনের। সব মিলিয়ে মোট ২০ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ১৯ জনের পরিচয় জানা গেছে। পরিচয় মেলেনি ১ মহিলার। নারায়ণগঞ্জের ইতিহাসে এই ভয়াবহ স্মৃতি মনে করে আজও শিহরিত হয়ে ওঠে এখানকাবাসী।
সেদিন নিহত হয়েছিলেন শহর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল হাসান বাপ্পী, সহোদর সরকারী তোলারাম কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের জিএস আকতার হোসেন ও সঙ্গীত শিল্পী মোশাররফ হোসেন মশু, সঙ্গীত শিল্পী নজরুল ইসলাম বাচ্চু, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের তৎকালীন যুগ্ম সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ভাসানী, নারায়ণগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এ বি এম নজরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সাইদুর রহমান সবুজ মোল্লা, মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী পলি বেগম, ছাত্রলীগ কর্মী স্বপন দাস, কবি শওকত হোসেন মোক্তার, পান সিগারেট বিক্রেতা হালিমা বেগম, সিদ্ধিরগঞ্জ ওয়ার্ড মেম্বার রাজিয়া বেগম, যুবলীগ কর্মী নিধু রাম বিশ্বাস, আব্দুস সাত্তার, আবু হানিফ, এনায়েতউল্লাহ স্বপন, আব্দুল আলীম, শুক্কুর আলী, স্বপন রায় ও অজ্ঞাত এক মহিলা। নিহত মহিলার পরিচয় পেতে তেমন কোনও চেষ্টা করেনি প্রশাসন। হামলায় শামীম ওসমানসহ অর্ধশতাধিক আহত হন। তার ব্যক্তিগত সচিব চন্দন শীল, যুবলীগকর্মী রতন দাস দুই পা হারিয়ে চিরতরে বরণ করেছেন পঙ্গুত্ব।
মামলা দায়ের
বোমা হামলার পর দিন খোকন সাহা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় (একটি বিস্ফোরক অন্যটি হত্যা) জেলা বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে প্রধান করে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের মোট ২৭ জনকে আসামি করে দুটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার দীর্ঘ ২২ মাস পর ২০০৩ সালের এপ্রিল মাসে বোমা ট্রাজেডি মামলা দুটির ফাইনাল রিপোর্টে বলা হয়, ‘উল্লিখিত ২৭ জনের কেউই চাষাড়া আওয়ামী লীগ অফিসে ১৬ জুন ২০০১ সালের বোমা হামলায় জড়িত নন। যদি ভবিষ্যতে অত্র মামলার তথ্য সংবলিত ক্লু পাওয়া যায়, তবে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করার ব্যবস্থা করতে হবে।’ দীর্ঘ প্রায় ছয় বছর মামলাটি হিমাগারে থাকার পর সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের ২ জুন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করে সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে নিষ্পত্তি করার জন্য রাষ্ট্রপক্ষকে আদেশ দেন।
২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঘটনায় নিহত চা দোকানি হালিমা বেগমের ছেলে আবুল কালাম বাদী হয়ে শামীম ওসমান, তার ভাই নাসিম ওসমান, সেলিম ওসমান সহ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও এর সহযোগী সংগঠনের ৫৮ নেতাকর্মীকে আসামি করে একটি মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে উচ্চ আদালত এ মামলাটি খারিজ করে দেন।









Discussion about this post