রূপগঞ্জের ক্রাইমজোনখ্যাত চনপাড়া বস্তিতে পঞ্চম দিনের মতো টানা সংষর্ষ চলছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে দুইপক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়।
এ সময় একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে । এছাড়া গতকাল বুধবার রাতে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় দৌড়ে পালাতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্টে নিহত হয়েছেন এক মসজিদের মুয়াজ্জিন।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সকালে সংঘর্ষকালে পুলিশের উপরও হামলা করে সংঘাতকারী । পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ২২ রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়ে । এসব ঘটনায় ১২ জনকে আটক করা হয়েছে ।
স্থাণীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এলাকায় অবৈধ কর্মকান্ড ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ৪ জুলাই থেকে বজলু বাহিনীর প্রধান জয়নালের গ্রুপের সঙ্গে একই এলাকার শাহিন গ্রুপের সংঘর্ষ শুরু হয়। টানা ৫ দিনের সংঘর্ষে র্যাব-পুলিশের পক্ষ থেকে ৩ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া চলমান সংঘর্ষে পুলিশের ১৪ সদস্যসহ এখন পর্যন্ত শতাধিক আহত হয়েছেন। গ্রেফতার করা হয়েছে এ পর্যন্ত ২১ জনকে। উদ্ধার করা হয়ে বহু অস্ত্রসস্ত্র। এসব ঘটনার সূত্র ধরে গত বুধবার রাত ৯টার দিকে ৬ নং ওয়ার্ড এলাকায় আবারো দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এ সময় ৬ নং ওয়ার্ডের জেহাদী আল মদিনা জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন হাসান মাহমুদ (৩২) প্রাণ বাঁচাতে রাস্তা দৌঁড়ে মসজিদের ছাদে আশ্রয় নিতে গেলে সেখানে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা যান।
এছাড়া বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ৬ নং ওয়ার্ড এলাকায় আবারো দুইপক্ষ অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘাতে লিপ্ত হয়।
এ সময় ব্যাপকভাবে ইট পাটকেল নিক্ষেপ, গুলিবর্ষণ এবং ককটেলের বিস্ফোরন ঘটানো হয়। সংঘর্ষকালে বজলু গ্রুপের সামসু মিয়াকে (৩৮) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেয়ার পথে তিনি মারা যান। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একপক্ষ অন্যপক্ষকে দায়ী করেছেন।
এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সংঘাতকারী পুলিশের উপর হামলা করে। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ২২ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে নারীসহ ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ (গ) অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন বলেন, চনপাড়ায় ছোট্ট একটি এলাকাতে লক্ষাধিক মানুষের বসবাস । এখানে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। অপরাধীরা ঘটনা ঘটিয়ে ছোট ছোট গলি দিয়ে আত্মগোপন করে। তারপরও আমরা র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি। মৃতদের লাশ দাফনের পর যেন আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি ।









Discussion about this post