নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় সেজান জুসের কারখানায় ৫২ জন শ্রমিক নিহতের ঘটনায় শহরের বঙ্গবন্দু সড়কের প্রেস ক্লাবের সামনে গণসংহতি আন্দোলনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ।
১০ জুলাই বিকেল ৪ টায় ওই ঘটনা ঘটে।
বিক্ষোভে নেতৃত্বের বক্তব্য চলাকালীন সময়ে পুলিশ নেতাকর্মিদের উপর চড়াও হয়। সমাবেশের ব্যানার ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে এবং নেতা কর্মিদের শারীরিকভাবে আঘাত করা শুরু করে।
কর্মিরা পুলিশি হামলা প্রতিহত করতে গেলে গণসংহতি আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রধান সমন্বয়ক তরিকুল সুজনকে, লাঠি দিয়ে আঘাত করা শুরু করে। তার পরিহিত পোশাক ছিঁড়ে ফেলে। এ ঘটনায় তিনি বুকে, পায়ে এবং হাতে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। বর্তমানে তিনি প্রাথমিক চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
পুলিশের এই বর্বোরচিত হামলার প্রতিবাদে তরিকুল সুজন বলেন, রূপগঞ্জের সেজান জুসের কারখানায় ৫২ জন শ্রমিক নিহতের ঘটনায় গণসংহতি আন্দোলনের বিক্ষোভ আয়োজন করে। বিক্ষোভ শুরু করার আগেই পুলিশ আমাদের বাধা দিতে থাকেন। আমরা প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে সমাবেশ সংক্ষিপ্ত করার অনুমতি নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করি। এরপরেও পুলিশ বারবার বাধা দেয় এবং একপর্যায়ে আমাদের ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমার মাইক ছিনিয়ে নিয়ে, আমাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টায়, পোশাক ধরে টেনে হিঁচরে রাস্তায় ফেলে দেয়। লাঠি ও বুট দিয়ে বুকে, পায়ে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে, অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে।
আমরা এই ন্যয্য দাবী নিয়ে আয়োজন করা বিক্ষোভে, পুলিশের ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। যত বাঁধা, হামলাই আসুক আমরা আমাদের দাবী এবং আন্দোলন চলমান রাখবো। আমরা জনগণের পক্ষে, মানুষের অধিকারের পক্ষে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।









Discussion about this post