প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফতুল্লার দেওভোগে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত ইমন (২১) হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই সবুজ বাদী হয়ে ২৬ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০-১২ জনকে আসামী দায়ের করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো ফতুল্লা মডেল থানার পশ্চিম দেওভোগের দেলোয়ার লিটনের ছেলে হান্নান (২২), একই এলাকার বাবুলের ছেলে রাকিব (২১) ও সুমনের ছেলে রোজেল (২৫)। ১৭ জুলাই শনিবার রাতে হত্যাকান্ডের পর ১৮ জুলাই মামলা ও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
বাদীর লিখিত এজাহারের ভিত্তিতে জানা যায়, বাদীর ছোট ভাই নিহত ইমন স্থানীয় একটি হোসিয়ারী কারখানায় কাজ করে। ঘাতক চক্রের সদস্যরা স্থানীয় মহলে নানা অপরাধের পাশাপাশি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ঘাতক চক্র তার ভাইকে তাদের সাথে মাদক ব্যবসা সহ তাদের দলে সক্রিয় হয়ে কাজ করার জন্য তাগিদ দিয়ে আসছিলো।কিন্তু তার ভাই তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে তাদের অপরাধমূলক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করে আসছিলো। ফলে তারা তার ভাইয়ের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
শনিবার সন্ধ্যায় তার ছোট ভাই নিজ কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরে এসে খাবার খেয়ে বাড়ীর পাশে হাজীর মাঠ গিয়ে বন্ধুদের সাথে গল্প করছিলো। রাত আটটার দিকে ঘাতক চক্রের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার ভাইয়ের উপর হামলা চালিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান, নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। এজাহারভুক্ত তিন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।









Discussion about this post