সময় টেলিভিশনের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি শওকত আলী সৈকতের বাবা অবসরপ্রাপ্ত সমবায় কর্মকর্তা আবদুল হাই ভূঁইয়াকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আবু বকর সিদ্দিক নামে অভিযুক্ত যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
রবিবার রাতে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার দক্ষিণ সস্তাপুর এলাকায় নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তবে কি কারণে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে, পুলিশ এখন পর্যন্ত তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বাড়ির নীচতলার ভাড়াটিয়ার কাছে প্রায় এক বছরের বকেয়া ভাড়া বাবদ ৭০ হাজার টাকা পান সাংবাদিক শওকত আলী সৈকতের বাবা আবদুল হাই। ভাড়াটেদের কাছে তিনি কয়েক মাস যাবত বকেয়া ভাড়া চাইলেও তারা গড়িমসি করতে থাকে। এ নিয়ে রবিবার সকালে ওই পরিবারের বখাটে জামাতা আবু বকর সিদ্দিক তাকে নানাভাবে হুমকি দেয়।
ওইদিন নিকট আত্মীয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিবারের সবাই জানাজা ও দাফনে অংশ নিতে সেখানে চলে গেলে আবদুল হাই বাড়িতে একা অবস্থান করছিলেন। রাত আনুমানিক এগারোটার সময় আবু বকর সিদ্দিক আবদুল হাই এর ফ্ল্যাটে ঢুকে তার উপর আক্রমন করে। তার মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে থেতলে দেয়। এক পর্যায়ে তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে মুখে সোফার বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তিও হয়। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয় নৈশ প্রহরীরা এগিয়ে এলে আবু বকর সিদ্দিক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে এলাকাবাসি তাকে আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দেয়। পরে স্বজনরা আহত আবদুল হাইকে সদরের জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেন।
এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে পরিবারের পক্ষ থেকে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ফতুল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, এই হত্যার চেষ্টার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তার সাথে আরো কেউ জড়িত থাকলে তাদের গ্রেফতার করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি তদন্ত চলছে।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, এই ঘটনার কঠোর পদক্ষেপ নিতে সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও থানার ওসিকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ওই এলাকায় পুলিশের টহল ও নজরদারি করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি।
এদিকে, সাংবাদিক শওকত আলী সৈকতের বাবা আহত আবদুল হাই ভূঁইয়াকে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিক সমাজ।









Discussion about this post