শহরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধে মর্ডানার টিকা নিতে সকাল থেকেই হাজারো মানুষের ভিড় দেখা করা গেছে। এর মধ্যে টিকা শেষ হওয়া যাবার পর ১ ঘন্টা বন্ধ থাকে টিকা প্রদান কার্যক্রম।
বুধবার (১১ আগস্ট) সকাল ৮ টা থেকেই হাজারো মানুষ লাইনে দাঁড়ান টিকা নিতে। ২ হাজার ডোজ টিকা দেয়ার পর দুপুর ১২ টার দিকে টিকা শেষ হয়ে যায়। এ সময় সাধারণ মানুষ উত্তেজিত হয়ে পড়লে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে আবারো টিকা আনিয়ে ১ ঘন্টা পর টিকা কার্যক্রম শুরু করা হয়।
জানা যায়, প্রতিদিন এ হাসপাতালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনর এলাকার বাসিন্দা ১৮০০ থেকে ২ হাজার জনকে টিকা দেয়া হয়। আজও এর ব্যতিক্রম হয়নি। তবে প্রতিদিন ম্যাসেজ দেখে টিকা দেয়া হলেও আজ ম্যাসেজ ছাড়াই টিকা দেয়া শুরু হয়। আর এতেই ভিড় বেড়ে যায়। পরে অনেকেই টিকা শেষ হবার পর চলে গেলেও আবার টিকা নিয়ে আসা হলে আবারো লাইনে দাঁড়ান নতুন করে অনেকে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) আসাদুজ্জামান জানান, টিকার জন্য আজ সকাল থেকেই ম্যাসেজ ছাড়া এত মানুষের ভিড় ছিল যে আমরা ম্যাসেজ ছাড়াই দিচ্ছিলাম টিকা। পরে টিকা শেষ হবার পর কিছুক্ষন বন্ধ ছিল টিকা কার্যক্রম। এ সময়েই কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। পরে পুলিশের সহায়তায় আবারো টিকা কার্যক্রম শুরু হয়।
তিনি জানান, আমরা প্রতিদিন ২ হাজার টিকা দিয়ে থাকি। আজ এমন অবস্থায় থাকায় আগামীকালকের টিকা আজকেই এনে দিয়ে দিচ্ছি। আগামীকালের জন্য আবার ঢাকায় পাঠাবো টিকা আনতে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান জানান, আমরা পরিস্থিতি গিয়ে স্বাভাবিক করি। মানুষ টিকা নিতে চাইছে আমরা দেয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। আগামীকালকের জন্য রাখা টিকা আমরা পুলিশ সুপারের ও সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা বলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। কালকের টিকা তারা ঢাকা থেকে আনবে সমস্যা হবে না। কার্যক্রম স্বাভাবিক চলবে বলে জানান তিনি।









Discussion about this post