গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জের মো. নুর হোসেন (৪০) নামের একজন কে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তার কাছে ২ হাজার ইয়াবা টেবলেট রয়েছে এমন সংবাদের পর আটক করা হলেও নূর হোসেন বরাবরের মতোই তা অস্বিীকার করেন ।
এরপর শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের তৃতীয় তলায় ভর্তি করার পর জরুরী বিভাগের চিকিৎসক গোলাম মোস্তফার চিকিৎসা অনুযায়ী এভোলাক সিরাপ ও খাবার হিসেবে রুটি, কলা, পানি খাবারের এক পর্যায়ে নূর হোসেনের পেট থেকে পায়ুপথে বেড়িয়ে আসতে থাকে কালো জামের মতো একেক টি পোটলা । প্রতিটি পোটলায় ৫০টি করে ইয়াবা রয়েছে বলেও জানায় নূর হোসেন ।
এভাবেই নূর হোসেনের পেট থেকে ১৮০০ পিস ইয়াবা অভিনব পন্থায় উদ্ধারের পর শুক্রবার দিনগত রাতে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এমন দৃশ্য দেখে হাসপাতালের অনেকেই টিপ্পনী কেটে বলেন, “ইয়াবার প্রসব হচ্ছে হাসপাতালের কেবিনে ।“
শুক্রবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত র্যাবের সদস্যদের ক্লান্তিহীন পরিশ্রম শেষ পর্যন্ত সফলতার মুখ দেখে । পায়ুপথে ইয়াবা উদ্ধারের আগমুহূর্ত পর্যন্ত নূর হোসের পুরোদমেই অস্বীকার করে আসছিলেন ইয়াবা বহনের বিষয়টি । এবপর জেনারেল হাসপাতালের ৩১৫ নম্বর কেবিনে রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ মতে উদ্ধার করা হয় এই বিশাল পরিমান ইয়াবা ।
গ্রেফতার নুর হোসেন দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক । সে কক্সবাজারের টেকনাফ থানার জাদিমোড়া এলাকার মৃত রশীদের ছেলে।

শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র্যাব-১১ এর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
র্যাব জানায়, নুর হোসেন দীর্ঘদিন ধরে অভিনব কৌশলে ইয়াবা পাচার করে নিয়ে এসে নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় কেনা-বেঁচা ও সরবরাহ আসছিল। পরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মাদক আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা করা হয়েছে ।
এমন ঘটনা ছাড়াও গ্রেফতারকৃত নূর হোসেনের বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি ইয়াবা পাচারের মামলা রয়েছে দেশের বিভিন্ন থানায়।









Discussion about this post