ইতিপূর্বেও এই শাহজাহান নারী কেলেংকারীর সাথে জাড়িত থাকায় হাতেনাতে ধরা পরে তার স্ত্রীর কাছে । এমন কেলেংকারীর পর স্ত্রীর পায়ে ধরে ক্ষমা চাওয়ার ৬ মিনিট ০১ সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয় পুরো নারায়ণগঞ্জ জুড়ে । এবার খোদ প্রধানমন্ত্রীর নথি জালিয়াতির ঘটনার আসামী মো. শাহজাহানের এমন কেলেংকারী ছড়িয়ে পরলে অনেকেই তীব্র ভাষায় সমালোচনা করে বলেন, “এরা যে মুখোষধারী অপরাধী আর কিভাবে প্রমাণ করতে হবে । এরপরও তাদের আর লজ্জা হবে কবে । এদের চাঙ্গারী (একপ্রকার ধামা বা ঝুড়ি) ভরা ইজ্জত, দুই একটা পরে গেলে কিছু হয় না ।“
নথি জালিয়াতির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বদলে দেওয়ার অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন ফতুল্লার জালাল হাজীর ছেলে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান।
তিনি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক ধানের শীষের প্রার্থী বিএনপি নেতা শাহ আলমের ভাই।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন শাহজাহান। শুনানি শেষে আদালত ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিনের আদেশ দেন।
গত বছর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগের জন্য ৩ জনের নাম প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি সার সংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। সেই সংক্ষেপের নথি প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করার পর তিনি একজনের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেন। পরে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নথিটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর প্রস্তুতির পূর্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফাতেমা, ছাত্রলীগ নেতা তরিকুলের মাধ্যমে জালিয়াতির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বদলে দিয়ে আসামিরা নথিটি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠায়। তবে এক পর্যায়ে জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপর গত ৫ মে জালিয়াতির ওই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মোহাম্মদ রফিকুল আলম বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিটও দাখিল করে। অভিযোগ দুদকের এখতিয়ারভুক্ত হওয়ায় পরবর্তীতে কমিশনের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান ছাড়াও আসামি করা হয়- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি (বহিষ্কৃত) তরিকুল ইসলাম মমিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মচারী ফাতেমা খাতুন, নাজিম উদ্দীন, রুবেল, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফরহাদ হোসেন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস-এর সাবেক কোষাধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর এম আবদুস সালাম আজাদ ও রবিউল আউয়াল।

উল্লেখ্য এমন লোমহর্ষক অপরাধ ছাড়াও নাান অপরাধের সাথে জড়িত রয়েছে এই মুখোষধারী শিল্পপতি শাহজাহান । এর পূর্বে এই শাহজাহান নারী কেলেংকারীর সাথে জাড়িত থাকায় হাতে নাতে ধরা পরে তার স্ত্রীর কাছে । এমন কেলেংকারীর পর স্ত্রীর পায়ে ধরে ক্ষমা চাওয়ার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয় পুরো নারায়ণগঞ্জ জুড়ে । এবার খোদ প্রধানমন্ত্রীর নথি জালিয়াতির ঘটনার আসামী মো. শাহজাহানের এমন কেলেংকারী ছড়িয়ে পরলে অনেকেই তীব্র ভাষায় সমালোচনা করে বলেন, “এরা যে মুখোষধারী অপরাধী আর কিভাবে প্রমাণ করতে হবে । এরপরও তাদের আর লজ্জা হবে কবে । এদের চাঙ্গারী (একপ্রকার ধামা বা ঝুড়ি) ভরা ইজ্জত, দুই একটা পরে গেলে কিছু হয় না ।“









Discussion about this post