অপরাধ না করতে পারলে যেন ঘুম ই হয় না নানাভাবে বিতর্কিত বন্দরের ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদের । তিনি সব সময়ই কোন না কোন বিতর্কিত কর্মকান্ড ঘটিয়ে নারায়ণগঞ্জের একটি প্রভাবশালী অপরাধী পরিবারের তৈলমর্দন করে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন । এবারো তার ব্যতিক্রম না ঘটায় এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার পরও নির্বাচন নিয়ে দৌড়ঝাপ চালিয়ে যাচ্ছেন এই নির্লজ্জ মাসুম । যার কারণে পুরো বন্দর উপজেলায় ব্যাপক সমারোচনার ঝড় বইছে
এলাকার অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আর কত অপরাধ করলে এই নির্লজজ মাসুমের ষোলকলা পূর্ণ হবে ?
জানা যায়, পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়া অবৈধভাবে পরিচালনার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের ধামগড় এলাকায় অবস্থিত এইচ.আর.বি নামের দুইটি ইটভাটার চুল্লি ও ইট তৈরীর কাঁচামাল গুড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। ইটভাটা দুইটি ধামগড় ইউনিয়ণ পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদের। তাকে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ১১টায় পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো.আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী সচিব মোহাম্মদ আবু হাসান, র্যাব-১১ এবং জেলা পুলিশের সদস্যরা।
ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের পাশের জেলার বন্দর উপজেলার জাংগাল ও কেওঢালা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই এসব ইটভাটা তৈরী করে কৃষিজমির মাটি কেটে ইট তৈরী করছে একটি মহল। এসব অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এদিকে ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম আহমেদ অভিযোগ করেন, শত্রুতা করে একটি পক্ষ প্রভাব খাটিয়ে তার ইট ভাটা ভেঙ্গে দিয়েছে। তিনি বলেন এই এলাকায় আরো অনেক ইটভাটা থাকলেও শুধু তার ভাটায়ই পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান চালায়।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য থেকে আরো জানা যায়, চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর নানা অনিয়ম,দূর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি যেন তার পিছু ছাড়ছে না। তার ভাগিনা মাদকসহ পুলিশের হাতে আটক। কিছুদিন না যেতেই তার ছেলে স্কুল ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার অপরাধে গনধোলাই দেয় জনতা। এর কিছুদিনের মধ্যে তার অবৈধ ইটভাটায় অভিয়ান চালায়। পুনরায় আবার চালু করলেই অভিযান চালায় পরিবেশ অধিদপ্তর। ড্রেজার ব্যবসাসহ অবৈধ ভেকু দিয়ে মাটি কাটছে। জেলা প্রশাসক মদনপুর, ধামগড় ইউপি এলাকায় ফসলি জমিতে ভেকু চলাচলের উপর কঠোর অবস্থান জারি করলেও তার কর্যক্রম ছিল স্বাভাবিক। কারন একেতো চেয়ারম্যান আবার সরকার দলীয় নেতা বলে কথা।









Discussion about this post