পাঁচ দিন আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) থেকে নিখোঁজ রোগী মো. মাঈনুদ্দিনের লাশ পাওয়া গেছে নারায়ণগঞ্জে। গত শুক্রবার লাশ পাওয়ার পর তাঁর দাফনও হয়ে গেছে। ২৮ বছর বয়সী মাঈনুদ্দিন গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলা করতে পারতেন না তিনি। এমন অসুস্থ রোগী কীভাবে হাসপাতাল থেকে নারায়ণগঞ্জে গেলেন, সেই রহস্য এখনো উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
মাঈনুদ্দিন কিডনি, লিভারের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। গত ২৩ অক্টোবর মাঈনুদ্দিনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে তাঁর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছিল। এর মধ্য গত মঙ্গলবার সকাল আটটার পর থেকে তাঁকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে এ বিষয়ে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন তাঁর বাবা রবিউল হক।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান আজ রোববার গণমাধ্যমকে বলেন, শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ রেলগেট পার্কের ভেতর থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত করে মরদেহটি অজ্ঞাতনামা হিসেবে সিটি কপোররেশনের কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে মরদেহের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে রাখা হয়। সিআইডির গবেষণাগারে আঙুলের ছাপ পরীক্ষা করে আজ ওই মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। এরপর মাঈনুদ্দিনের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়।
ওসি শাহ জামান বলেন, নিহত যুবকের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। পরিবার থেকেও কোনো অভিযোগ করা হয়নি। থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তে যদি হত্যার বিষয় আসে, তাহলে অপমৃত্যুর মামলাটি হত্যা মামলায় পরিণত হবে। তদন্তও সেভাবে হবে।
মাঈনুদ্দিনের বাড়ি ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের উত্তর লক্ষ্মীপুর গ্রামে। তাঁর বাবা রবিউল হক শাহবাগ থানার সাধারণ ডায়েরিতে লিখেছিলেন, মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে দুজন চিকিৎসক একটি পরীক্ষার জন্য ছেলে মাঈনুদ্দিনকে ৬ তলার ৬০১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ১০ তলার একটি কক্ষে নিয়ে যান। এ সময় মাঈনুদ্দিনের বড় ভাই জামাল উদ্দিনও সঙ্গে যান। মাঈনুদ্দিনকে কক্ষে রেখে তাঁর জন্য নাশতা আনতে বাইরে যান জামাল। কিন্তু ফিরে এসে ওই কক্ষে তাঁকে পাওয়া যায়নি। দিনভর হাসপাতালে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, ওয়ার্ডমাস্টার ও ওয়ার্ডের নার্সরা মাঈনুদ্দিনের সন্ধান পাননি।









Discussion about this post