নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের (ইউপি) আগের রাতে কেন্দ্র দখলের চেষ্টাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত ১২টার দিকে ধামগড় ইউনিয়নের জাঙ্গাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ শাখার পরিদর্শক নিরু মিয়া ও উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত বাকি ব্যক্তিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের নাম জানা যায়নি।
পুলিশের ভাষ্য, মধ্যরাতে একদল বহিরাগত সন্ত্রাসী কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে। তাদের প্রতিহত করতে শতাধিক রাবার বুলেট, শটগানের গুলি ছুড়ে পুলিশ। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। তবে কেন্দ্র দখলের চেষ্টায় কোনো প্রার্থীর লোকজন জড়িত কি না, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেনের পাঁচ সমর্থককে আটক করা হয়েছে।
টেলিফোন প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন অভিযোগ করেন, ‘গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাসুম আহম্মেদের সমর্থকেরা পুলিশের সহযোগিতায় বিভিন্ন কেন্দ্র দখল করে নৌকা প্রতীকে অগ্রিম সিল মেরে রাখছিলেন। আমরা বারবার চেষ্টা করেও তাঁদের থামাতে পারিনি। পরে তাঁরা জাঙ্গাল কেন্দ্রে একই কাজ করার সময় নৌকার সমর্থকদের আটক করেন এলাকাবাসী। তাঁদের বাঁচাতে পুলিশ আমাদের ওপর রাবার বুলেট ছুড়ে। আমাদের ১৫ জনের মতো লোকজন আহত হন।’
অভিযোগের বিষয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেনের লোকজনই কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করেছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এলাকায় গিয়ে কেউ কি কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করতে পারবে ?
রাতে দুর্বৃত্তের দল কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ বাঁধে বলে জানান বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র সাহা। তিনি জানান, পুলিশ শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ও শটগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুর্বৃত্তরা কোন প্রার্থীর হয়ে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করেছিল, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, নির্বাচনে যারাই সহিংসতা ও কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচনের নিরাপত্তায় মাঠে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, আনসার সদস্যরা কাজ করছেন। কেউ বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।









Discussion about this post