এমন মামলার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে । কোন কোন সাংবাদিক এই প্রতিবেদকের সাথে নিজেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে (নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন) বলেন, একই মামলায় দুই জন জামিন নিয়েছেন । আর দুইজনের বিরুদ্ধে আদালত কর্তৃক দেয়া হয়েছে গ্রেফতারী পরোয়ানা। দুই জন জামিন নিয়েছেন আর দুইজনের একজন কারাগারে যেতে হলো আর একজন পালিয়ে রেড়াচ্ছেন গুরুতর অসুস্থ থাকার পরও । এমন ঘটনায় গভীর চক্রান্ত রয়েছে । এবার কঠিন রাজনতির শিকার হলো লিংকন। নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকদের ব্যবহার করে মেয়র আইভী বিরোধী চক্র সুবিধা গ্রহণ করতেই নীলনক্সা তৈরী করে সাংবাদিক সৈয়দ সিফাত আল রহমান লিংকনকে গ্রেফতার নাট্য মঞ্চ্যায়ন করে কৌশলী রাজনীতি করছেন । এ যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের মতো ।
৬ মিনিট ২১ সেকেন্ডের মুঠোফোনে আলোচনায় ভুক্তভোগি একজন গণমাধ্যম কর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “গভীর চক্রান্তের অংশ হিসেবে আজ শনিবার কারাগারে যেতে হলো লিংকনকে । চক্রান্ত কি মেয়র আইভী করেছেন ? নিশ্চিত না ! কারা করেছেন তা এই শহরের সকলেই জানেন । ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না !” এক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকগণ সতর্ক হওয়া উচিৎ বলেও মন্তব্য করেন এই প্রবীন গণমাধ্যম কর্মী
আইসিটি মামলায় সাংবাদিক সৈয়দ সিফাত আল রহমান লিংকনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
সৈয়দ সিফাত আল রহমান লিংকন আনন্দ টিভির নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি। এছাড়া স্থানীয় দৈনিক সংবাদ চর্চার স্টাফ রিপোর্টারের পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ বার্তা নামের একটি অনলাইনের সম্পাদক ও প্রকাশক।
গ্রেফতারের আগে তিনি জানান, আমার বাড়িতে এখন তেমন কেউ নেই। আমার বাবা গুরুতর অসুস্থ। এর মধ্যে কিছুদিন আগে তাকে আইসিইউ থেকে বাড়িতে নিয়ে এসেছি। মধ্যরাতে পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি জানান, এটি একটি মিথ্যা মামলা। সংবাদ প্রকাশের জের ধরে মেয়র আইভীর ভাই এ মামলা দায়ের করেন। এ ধরনের মামলা সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের কাজের ক্ষেত্রে বাধা।
পরে তাকে গ্রেফতারের পর শহরের আল্লামা ইকবাল রোডে পায়ে হাঁটিয়ে অনেক দূর নিয়ে গিয়ে গাড়িতে তোলে পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, ২০ নভেম্বর শনিবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মেদ হুমায়ূণ কবিরের আদালতে শুনানী শেষে আদালত কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর ছোট ভাই আলী রেজা রিপনকে জড়িয়ে একটি আর্থিক কেলেংকারী নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে ২০১৭ সালের ১৫ এপ্রিল আলী রেজা রিপন সদর মডেল থানায় আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় তিনটি মামলা করেন। তিনটি পৃথক মামলায় দৈনিক যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি রাজু আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ বার্তা অনলাইনের প্রকাশক সিফাত আল রহমান লিংকন, নির্বাহী সম্পাদক মাহমুদ হাসান কচি ও নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত স্থানীয় দৈনিক ডান্ডিবার্তার সম্পাদক হাবিবুর রহমান বাদলকে আসামি করা হয়।









Discussion about this post