সোনারগাঁয়ের ৮ ইউনয়ন পরিষদে শান্তিপূর্ণভাবে চলছে ভোটগ্রহণ। রোববার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এ ভোটগ্রহণ।
সকালে সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর ইউনিয়নের ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩ টি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ ও জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম।
এসময় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচন সুষ্ঠ, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ ও জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম।
শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। সময় যত গড়াচ্ছে ততই ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ছে।
জানা গেছে, তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সোনারগাঁ উপজেলার ৮টি ইউপির ৪টিতে মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিনে চেয়ারম্যান পদে কোন প্রতিদ্বন্দ্বীতা না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার মাসুম (পিরোজপুর), মোশারফ ওমর (কাঁচপুর), লায়ন বাবুল (বারদী) ও জাহিদ হাসান জিন্নাহ (সনমানদী)। তারা চারজনই আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী। বাকি শম্ভুপুরা, জামপুর, সাদিপুর ও নোয়াগাঁও ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচন হচ্ছে। এই চার ইউপিতে ১৭ জন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে সাদিপুর ইউনিয়নে ৩ জন, জামপুর ইউনিয়নে ৪ জন, নোয়াগাঁও ইউনিয়নে ৬ জন ও শম্ভুপুরা ইউনিয়নে ৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
৮টি ইউপিতে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও সাধারণ সদস্য পদে ৩৭২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে কাঁচপুরে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৮ জন ,সাধারণ সদস্য পদে ৪৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বারদী ইউনিয়নে ১২ জন সংরক্ষিত মহিলা পদে, ৩৩ জন সাধারণ সদস্য পদে, পিরোজপুরে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৯ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৩ জন, সনমান্দিতে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১১ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৪২ জন, সাদিপুরে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১১ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৪ জন, জামপুরে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১০ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৯ জন, নোয়াগাঁওয়ে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১২ জন , সাধারণ সদস্য পদে ২৮ জন ও শম্ভুপুরা সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৯ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৯ জন।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইউসুফ উল রহমান জানান, রবিবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহন শুরু হয়েছে। কেউ নির্বাচনী আইন ভঙ্গ করে, তাহলে তার বিরুদ্বে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে । নির্বাচনে যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ র্যাবসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন কঠোর অবস্থানে ।









Discussion about this post