শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন শ্রম অধিদপ্তরের শ্রমজীবী মহিলা হোস্টেল ও শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের আটটি নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান সভাপতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মনোনীত ৩০ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির হাতে পুরস্কার তুলে দেন। পরে মহিলা শ্রমজীবী হোস্টেলসহ নবনির্মিত আটটি স্থাপনার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
স্থাপনাগুলো হলো- নারায়ণগঞ্জে বন্দর মহিলা শ্রমজীবী হোস্টেল ও পাঁচ শয্যার হাসপাতাল সুবিধাসহ শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র, চট্টগ্রামে ছয় তলাবিশিষ্ট শিল্প সম্পর্ক শিক্ষায়তন দপ্তর, নারায়ণগঞ্জে পাঁচ তলাবিশিষ্ট আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর, বগুড়ায় তিন তলা বিশিষ্ট শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র ও আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর, গাইবান্ধায় তিন তলা বিশিষ্ট শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগে নারীরা ন্যায্য পাওনা পেতো না। আমরা ক্ষমতায় এসে নারীদের ন্যায্য পাওনা নিশ্চিতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। তারা যাতে সুন্দরভাবে নিরাপদে থাকতে পারে সেজন্য শ্রমজীবী হোস্টেল করা হয়েছে। আমরা নারীদের নিরাপদ কর্মক্ষেত্রের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি।
নারায়ণগঞ্জে আয়োজিত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসন মোস্তাইন বিল্লাহ, নারায়ণগঞ্জ বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক খোরশেদুল হক ভুইয়া, উপ-পরিচালক মহব্বত হোসাইন, সহকারি পরিচালক ইয়াস মিন আক্তারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। এছাড়া বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
পরে বিভাগীয় শ্রম দপ্তর নারায়ণগঞ্জ এর পরিচালক মো: খোরশেদুল হক ভুইয়া সাংবাদিকদের জানান, জেলার সাড়ে তিন হাজার শিল্প কারখানায় প্রায় বাইশ লক্ষ শ্রমিক কর্মরত আছেন। শ্রমজীবি মানুষদের সকল প্রকার অধিকার আদায়ে এই প্রতিষ্ঠান সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে পরিচালক ও সহকারি পরিচালকসহ ২৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারি এই দপ্তরে কর্মরত আছেন।









Discussion about this post