নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার আবাসিক এলাকায় পরিবেশ দূষণসহ ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে ডাইং কারখানা পরিচালনার অভিযোগে অনুমোদনহীন ছয়টি অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল দশটা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার ইসদাইর এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন সংস্থাটির নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট মো আবু হাসান।
এসময় বিভিন্ন ফ্ল্যাট বাড়ির নীচে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পরিচালিত মজুমদার ওয়াশিং, বি এল ওয়াশ, এ এফ লন্ড্রি, সোনালী ডাইং, লোকনাথ ডাইং এবং এন এ ডাইং এর বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালত।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের জেলা উপ-পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ডিপিডিসি ও তিতাসের স্থানীয় কর্মকর্তারা।
নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট মো আবু হাসান জানান, এই প্রতিষ্ঠানগুলো পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন না নিয়ে আবাসিক এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত অবৈধবাবে পরিচালিত হচ্ছে। খোলামেলা পরিবেশে যত্রতত্র বিভিন্ন ধরণের বিষাক্ত কেমিক্যাল ও দাহ্য পদার্থ ব্যবহারসহ এখানে ব্যবহৃত বয়লারের কালো ধোঁয়ার পরিবেশ দূষণ করা হচ্ছে। কারখানাগুলোতে ইটিপি প্লান্টও ব্যবহার করা হচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি এসব নানা কারণে এলাকার বাসিন্দারা দূর্ঘটনার ঝুঁকিতে বসবাস করছেন। তাই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের জেলা উপ-পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ছোট বড় শতাধিক ডাইং কারাখানা পরিচালিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে পরিবেশ দূষণকারি ও অনুমোদনহীন কারখানাগুলোকে নিয়মের আওতায় আনতে লিখিত নোটিশ দেয়া হয়েছে। আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে।
এরপরেও যারা মানছে না তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সকল অবৈধ কারখানার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে বলেও জানান তিনি।

এমন অভিযানের বিষয়ে ডাইং কারখানার মালিক পক্ষের লোকজন কঠোর সমালোচনা করে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, নিয়মিত মাসোয়ারা নিতেন পরিবেশ অধিদপ্তরের ক্যশিয়ার নামধারী এক ব্যাক্তি । গত কয়েক মাস যাবৎ আরো অধিক মাত্রায় মানসাযারা দিয়ে দরকষাকষি চলছিলো । দর কষাকষির পর কোন অবস্থাতেই মাসোয়ারার পরিমাণ আর বৃদ্ধি করা হবে না তা জানিয়ে দেয়ার পর এমন অভিযান চালায় ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে। অথচ ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয় জানেন ই না পরিবেশ অধিদপ্তরের অসাধুরা নিয়মিত মাসোয়ারা নিতেন নানাভাবে । যদি এই কারখানাগুলি এতোই অবৈধ হয় তা হলে এতোদিন কি করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর ? নারায়ণগঞ্জের শত শত মিল কারখানা রয়েছে, এমন কোন ফ্যাক্টরী আছে যারা মাসোয়ারা না দিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে ? ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক সড়কের স্টেডিয়ামের বিপরীতে নূরু সিআইডির বহুতল বাড়িতে এই পরিবেশ অধিদপ্তরে কি হচ্ছে তার সঠিক খোজ নিলেই বেড়িয়ে আসবে কতটা ভয়াবহ ভাবে দরকষাকষি করে ঘুষ আদায় করে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কেউ কেউ । আামদের দেশে পুলিশকে নিয়ে ঘুষ কেলেংকারীর নানা তথ্য উঠে আসলেও প্রকৃতপক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তরের খপ্পরে পরলে বোঝা যায় ঘুষ কাহাকে বলে ? ঘুষ কত প্রকার ও কি কি ? পরিবেশ অধিদপ্তরের অসাধুরা উদহারণসহ তা বুঝিয়ে দেয় ঘুষ কাকে বলে !









Discussion about this post