বিশেষ করে নগরীর প্রতিটি বাজারের প্রতিটি ব্রয়লার মুরগীর দোকানে ৫ কেজি মুরগী কিনতে গিয়ে প্রতিনিয়তঃ ৫০% চুরির ঘটনা ঘটেই চলেছে। নগরীর দিগু বাবুর বাজার ৫ কেজি মুরগীর মাংশ ক্রয় করে মুরগী পরিস্কার করার আগেই পাশের তরকারীর দোকনের পাল্লায় পরিমাপ করতে গিয়ে দারোগা মোস্তাফিজুর রহমান দেখতে পান মাত্র ১ কেজি ৮৮০ গ্রাম মুরগী দিয়ে ৫ কেজির দাম নেয় মুরগী বিক্রেতা। এমর ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পরেন তিনি। তোলপাড়ের সৃষ্টি হলে দিগুবাবুর বাজারের শক্তিশালী সিন্ডিকেট নানা দেন দরবার করে দারোগার পায়ে ধরে মাফ চেয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়
পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় শীতের সবজিতে স্বস্তি ফিরলেও সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে পেঁয়াজ, রসুন, আলু ও মুরগির দাম।
অন্যদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম।
শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জের মহানগরীর দিগু বাবুর বাজার, কালরি বাজার, বউ বাজার শিমরাইল মহাসড়কের বাজার ও ভূইঘরের রূপায়ণ এলাকার বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা দাম কমেছে। এসব বাজারে প্রতি কেজি টমেটো ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এছাড়া বরবটি ৮০ টাকা, সিম ৪০-৬০ টাকা, (গোল) বেগুন ৬০ টাকা, (লম্বা) বেগুন ৪০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতি পিস ৪০ টাকা, লাউ আকারভেদে ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা ও পেঁপের কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দিগুবাবুর বাজারের সবজি বিক্রেতা আলাল হোসেন বলেন, শীতের মৌসুম আসায় সবজির দাম কমেছে। এখন বাজারে সবজির সরবরাহ ও আমদানি ভালো আছে। তাই দাম বাড়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
তবে বাজারে বেড়েছে আলুর দাম। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিলো ২০ থেকে ২৫ টাকায়। নতুন আলুর কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজে ১৫ টাকা বেড়েছে। পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৫৫-৬০ টাকায়।
ভূইঘর রূপায়ণ বাজারের সবজি বিক্রেতা মোক্তার মিয়া বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ১৫ টাকা বেড়েছে। আমদানি কম, ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও বেড়েছে রসুনের দাম। ইন্ডিয়ান ও চায়না রসুনের দাম বেড়েছে। ইন্ডিয়ান রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। আগে বিক্রি হতো ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। চায়না রসুনের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। আগে বিক্রি হতো ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি।
এদিকে একই বাজারের সোলমান ভূইয়া বলেন, আমদানি কম থাকায় দাম বেড়েছে রসুনের। মৌসুম শেষের দিকে এমনিতেই বাড়তি দাম থাকে। বাজারে সরবরাহ কম থাকলে সবাই পেঁয়াজ-রসুন কিনতে চায়। আর এ সময় বেড়ে যায় দাম।
এসব বাজারে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায় আবার কোন কোন লেবু বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা হালি।
এছাড়া শুকনা মরিচ ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুন ৮০ থেকে ১৩০ টাকা ও আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। হলুদের কেজি ১৬০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইন্ডিয়ান ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। দেশি ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। এসব বাজারে প্রতি লিটার ভোজ্য তেল খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তেলের লিটারও বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়।
পাশাপাশি বাজারে বেড়েছে মুরগির দামও। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। ২০ টাকা দাম বেড়ে সোনালি মুরগির বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে সোনালি মুরগির কেজি ছিল ২৩০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা।
শিমরাইল মহাসড়কের পাশের বাজারের মুরগি বিক্রেতা ফালান উদ্দিন বলেন, মাসের শুরু আর শুক্রবার হওয়াতে মুরগির দাম বেড়েছে। চলতি মাসে বন্ধ ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান থাকায় মুরগির দাম চড়া থাকবে।
তরে প্রায় সকল মুরগীর দোকানে ওজনে মারাত্মক হারে কম দেয়ার ঘটনায় নাভিশ্বাস ফেলেছে নগরবাসীর মাঝে। বিশেষ করে ব্রয়লার মুরগীর দোকানে ৫ কেজি মুরগী কিনতে গিয়ে প্রতিনিয়তঃ ৫০% চুরির ঘটনা ঘটেই চলেছে। নগরীর দিগু বাবুর বাজারে ৫ কেজি মুরগীর মাংশ ক্রয় করে মুরগী পরিস্কার করার আগেই পাশের তরকারীর দোকনের পাল্লায় পরিমাপ করতে গিয়ে দারোগা মোস্তাফিজুর রহমান দেখতে পান মাত্র ১ কেজি ৮৮০ গ্রাম মুরগী দিয়ে ৫ কেজির দাম নেয় মুরগী বিক্রেতা। এমর ঘটনায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হলে দিগুবাবুর বাজারের শক্তিশালী সিন্ডিকেট নানা দেন দরবার করে দারোগার পায়ে ধরে মাফ চেয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয় ।
চাঞ্চল্যকর মহাচুরির এই ঘটনায় কেন আইনগত ব্যবস্থা নিলেন না এমন প্রশ্নে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা নানা কারণেই অসহায় । প্রতারকদের কাছে আমি নিজেও হার মেনে নিতে বাধ্য হয়েছি । এর বাইরে কিচ্ছু ই বলতে পারছি না । আপনিই তো দেখলেন পুরো ঘটনা । আমি আর কি করতে পারি বলে উল্টো প্রশ্ন করেন এই প্রতিবেদককে ।









Discussion about this post