নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কলেজছাত্র মফিজুল ইসলাম হত্যা মামলায় ১ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ২ নারীসহ ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
১০ বছর আগে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে কলেজছাত্র মফিজুল ইসলামকে হত্যা করা হয়। আজ রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন সাত আসামির উপস্থিতিতে এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ তিনজন পলাতক। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১০ বছর আগে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে কলেজছাত্র মফিজুল ইসলামকে হত্যা করা হয়। বিচারক সাত আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ তিনজন পলাতক।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মুছারচর এলাকার জাহিদুল ইসলাম। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন জাহিদুল ইসলামের ছোট ভাই মো. আলমগীর ও মো. বাসিত, আসাদ, শাহ জামাল, জুয়েল, মমতাজ বেগম, কল্পনা বেগম, কামাল ও নজরুল ইসলাম। জাহিদুল, আলমগীর ও বাসিত—এই তিন ভাই পলাতক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জাসমীন আহমেদ বলেন, ২০১১ সালের ৯ নভেম্বর রাতে সোনারগাঁয়ের মুছারচর এলাকায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে আসামিরা মো. শহীদুল্লাহর বাড়িতে টেঁটা, ধারালো ছুরিসহ হামলা চালান। এ সময় শহীদুল্লাহর কলেজপড়ুয়া ছেলে মফিজুল ইসলামকে টেঁটা দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়। আরও কয়েকজন আহত হন। হামলাকারীরা বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। এ ঘটনায় শহীদুল্লাহ বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় তদন্ত শেষে ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১২ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন আদালত।
রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বাদী মো. শহীদুল্লাহ বলেন, তাঁর কলেজপড়ুয়া ছেলেকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানান তিনি।
আসামিপক্ষের আইনজীবী এম এ রশিদ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, তাঁরা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।









Discussion about this post