নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবৈধভাবে আবারো গড়ে ওঠা প্রায় তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ।
এর আগেও অসংখ্যবার এমন উচ্ছেদের ঘটনা ঘটলেও দরকষাকষির পর ফের আবারো দখল করে হকাররা । আর এই দখলের নেপথ্যে নানাভাবে আইনশৃংখলা বহিনীর অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করতে কাজ করে অসাধু চক্র ।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে এ উচ্ছেদ অভিযান চলে।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে এসব অবৈধ দোকান থেকে মাসে প্রায় কোটি টাকা চাঁদাবাজি হচ্ছিল।
অপরদিকে উচ্ছেদ হওয়া হকারদের অনেকেই প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাজনীতিবিদ, পুলিশ, বিশেস পেশা, সড়ক ও জনপথ এবং আইনশৃংখলা বহিনীর অনেক অসাধু কর্মকর্তারাই এই চাঁদাবাজির অংশ নিয়ে সন্তুষ্টি থাকার কারণেই এই ফুটপাতে বসার সাহস করি আমরা হকাররা । আমার তো পেটের দায়ে হকারী করি আর ঘুষখোরেরা তাদের চরিত্র খারাপ বলেই ফুটপাত দখল করায় । এই উচ্ছেদ আর আমাদের দখলের নেপথ্যে রয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনীর বিতর্কিত কান্ড । চলতে থাকে দরকষাকাষি । আইনশৃংখলা বহিনী সঠিক থাকলে কেউ এই ফুটপাতে বসার সাহস করবে না । আইনশৃংখলা বহিনীর কর্তারা নিয়মিত মাসোয়ারা নেয়ার কারণেই দখল হয় ফুটপাত । তাইলে দায়ী কে ? আমরা হকাররা নাকি ঘুষখোর কর্তারা ? খোজ নেন, দেখেন, কারা কারা এই হকারদের কাছ থেকে চান্দা নেয় । পুলিশ যদি সত্যিকারেই মন থেকে চায় হকাররা ফুটপাতে বসবে না তাইলে কারো বাবার ক্ষমতা নাই এই ফুটপাত দখল করার । তাইলে কি করে কি ঘটে তা সকলেই জানেন । বিতর্কিতদের বিচার করতে কে ?

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মশিউর রহমান জানান, যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এ অভিযান চালানো হয়েছে। পুনরায় যাতে দোকানপাট বসতে না পারে সেজন্য মনিটরিং করা হবে। মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।









Discussion about this post