নারায়ণগঞ্জ শহরের ১ নম্বর রেল ক্রসিংয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে নারায়ণগহ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে পাঠানো হলে চিকিৎসক সাবিনা ইয়াসমিন রাজধানীর পঙ্গু ও ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মোট ৯ জন আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর বলেও জানান চিকিৎসক ।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টা ৫ মিনিটের সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নারায়ণগঞ্জের মণ্ডলপাড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন মাস্টার সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে তাৎক্ষণিভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি।
বিভিন্ন বাবে দারণ করা ভিডিও থেকে জানা যায়, আনন্দ পরিবহণের একটি বাস ১ নং রেল গেইটের উপর দাড়িয়ে তাকা অবস্থায় ঢাকা কে ছেড়ে আসা সন্ধ্যার ট্রেনটি দ্রুতবেগে রেলস্টেশনে প্রবেশের পথে বাসে ধাক্কা দেয় । এ সময় ট্রেন লাইনের সিগনাল ছিলো না । ট্রেন লাইনের ব্যারিকেট ছিলো উপরে তোলা ।
এমন ঘটনা ছাড়াও প্রতিনিয়তঃই শহরের ১নং রেল লাইনের উপর ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত হকারদের দখলে থাকায় সাধারণ মানুষের চলাচলের ক্ষেত্রেও চরম বিড়ম্বনায় পরতে দেখা যায় । আর এই ১নং রেল গেইট এলাকায় প্রতি মুহূর্তে বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল থাকায় অত্যান্ত ব্যস্ত থাকে ।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের এক নম্বর রেলগেট এলাকা আনন্দ পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে ট্রেনের ধাক্কা লাগে। এতে দুমড়ে-মুচড়ে যায় বাসটি। ঘটনাস্থলেই নিহত হন দুইজন। এ সময় আহত সাত বছরের ওই শিশুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আনা হলে চিকিৎসক তাকেও মত ঘোষনা করেন ।
আহতরা হলেন- নুরু মিয়া (৩৮), মনোরঞ্জন সাহা (৪০), কাদের মোল্লা (৩৫), মিজান মিয়া (৬৫), মনা ও মনির (৩৫)। বাকিদের নাম এখনো জানা যায়নি। নুরু মিয়া ও মনোরঞ্জন সাহা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান বলেন, ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় রেলস্টেশনে ঢুকছিল ট্রেনটি। ওই সময় এক নম্বর গেট এলাকায় ক্রসিংয়ের সময় কালীরবাজার থেকে আসা আনন্দ পরিবহনের একটি বাস সামনে পড়ে যায়। তখন ট্রেন বাসকে সজোরে ধাক্কা দেয়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস দুজন পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করে।
নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন অফিসার সিএম আক্তার হায়দার বলেন, সাত বগিবিশিষ্ট ট্রেনটি ঢাকার কমলাপুর থেকে ৫টা ২০ মিনিটে ছেড়ে আসে। দুর্ঘটনা ঘটে সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে। ট্রেনের চালক ও দায়িত্বরত গেটকিপারের নাম তাৎক্ষনিকভাবে জানাতে পারেননি এই কর্মকর্তা। এদিকে ঘটনার পর দেড় ঘন্টা ট্রেনটি সেখানেই ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ট্রেনটি পুনরায় ঢাকার দিকে ছেড়ে যায়।









Discussion about this post