২০২২ সালের ১৬ জানুয়ারীতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী দলীয় প্রতীক নৌকা বরাদ্দ পেয়েছেন।
অপরদিকে নির্বাচনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করা স্বতন্ত্র পদে মেয়র প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার পেয়েছেন হাতি প্রতীক।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে জেলা নির্বাচন অফিসে মেয়র প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেন রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার।
এছাড়া মেয়র পদে আরও ৫ প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। ইসলামী আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থী মাওলানা মাসুম বিল্লাহ দলীয় প্রতীক হাতপাখা, খেলাফত মজলিশের প্রার্থী এ বি এম সিরাজুল মামুন দলীয় প্রতীক দেয়ালঘড়ি, খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী জসিম উদ্দিন বটগাছ, কল্যাণ পার্টির প্রার্থী রাশেদ ফেরদৌস দলীয় প্রতীক হাতঘড়ি বরাদ্দ পেয়েছেন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম বাবু এখনও প্রতীক বরাদ্দ নিতে আসেননি।
নাসিক নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে মেয়র প্রার্থীরা সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেছেন। প্রত্যেকেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। নৌকার প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ পেলাম। পূর্বেও নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছি। বরাবরের মতোই নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হবো। জনগণ আমাকে ভোট দেবেন ইনশাল্লাহ।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নৌকার বাইরে আওয়ামী লীগের লোকজনের যাওয়ার সুযোগ নেই, তারা যাবেও না। দল চিন্তা-ভাবনা করে যাচাই-বাছাই করে মনোনয়ন দিয়েছে। এইখানে দল, ব্যক্তি সবাই একাকার।’
হাতি প্রতীকের প্রার্থী তৈমুর আলম বলেন, ‘আগেরবার দলের প্রার্থী ছিলাম, দলের নির্দেশে বসতে হয়েছিল। এইবার আমি জনতার প্রার্থী।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমি আস্থা রাখতে চাই। কিন্তু ইসি আস্থা রাখার মতো কাজ করছে না। আমি আইন মেনে চলতেছি কিন্তু সরকারি দলের প্রার্থী ও সরকার আইন মানতেছে না।’
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের কার্যক্রম শুরু হয়। মেয়র পদে এই নির্বাচনে লড়ছেন ৭ জন প্রার্থী। অন্যদিকে সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ১৮২ জন প্রার্থী। আগামী ১৬ জানুয়ারি সিটির ২৭টি ওয়ার্ডে একযোগে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।









Discussion about this post