২০১১ সালে ৩০ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী “আমাকে গোসল ছাড়াই কোরবানী দেয়া হয়েছে“ বলে মন্তব্য করেছিলেন তৈমূর আলম খন্দকার । ২৮ অক্টোবর মধ্যরাতে বসিয়ে দেয়ার পর অজোর ধারায় কান্না করে এমন মন্তব্য করেছিলেন তৈমূর । সেই তৈমূর এবার সেই নাসিক নির্বাচনে অংশ নেয়ায় দল তো তাকে কোন সহায়তা করছেই না উল্টো একে এক বিপাকে ফেলে যাচ্ছে দলের আদেশ না মানার কারাণে
এবার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদ হারালেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে দলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়।
এর আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক পদ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় তাকে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিএনপির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র।
অপরদিকে ২ জানুয়ারী জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিএনপি / সাধারণ / ৭৬/২০২১/১৫ নং স্বারকে এডঃ তৈমুর আলম খন্দকার কে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা কাউন্সিলরের সদস্য পদ প্রত্যাহার করা হলো ।
দলীয় প্যাডে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে তৈমুর আলমকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পদ থেকে তৈমুর আলম খন্দকারকে প্রত্যাহারের বিষয়টি উল্লেখ করে চিঠির একটি অনুলিপি জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে এ বিষয়ে মামুন মাহমুদকে তার মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।
সূত্রটি জনায়, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাকে জেলা বিএনপি আহ্বায়ক পদ থেকে সরানো হয়। তার স্থলে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে মনিরুল ইসলাম রবিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এবার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাকে।
এদিকে জানা যায়, বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ না নিলেও নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন অ্যাড. তৈমুর আলম খন্দকার। তিনি শুরুতে জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও দল তার সাথে আছে। পরবর্তীতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেয় বিএনপি। এরপর বিএনপির হাইকমান্ড থেকে নির্দেশ আছে, তৈমুর আলমের পক্ষে কোনো বিএনপি নেতা-কর্মী যেন কাজ না করে। তাকে বহিষ্কার করাও হতে পারে এমন আলোচনা তখন থেকেই চলছিল।
এমন একের পর এক ঘটনায় পুরো নগরীজুড়ে আরও আলোচনা রয়েছে, তৈমুর আলম খন্দকারকে এই নির্বাচনে সমর্থন দিচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর সাথে বিরোধের জেরেই নিজ দলের প্রার্থীর বিপরীতে গিয়ে বিএনপি নেতা তৈমুর আলমকে সমর্থন দিয়েছেন শামীম ওসমান। নাসিক নির্বাচনী এলাকার বন্দরসহ বিভিন্ন ক্যাম্পেইনে “শামীম তৈমূর দুই বাই আইভী আপার ভোট চাই” বলেও শ্লোগান দেয়া হয়েছে বলেও ব্যাপগ গুঞ্জন রয়েছে ।









Discussion about this post