আসামীদের রিমান্ডে আবেদন করে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানোর পর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহসিন আগামী (৯ জানুয়ারী) রোববার রিমান্ড শুনানীর ধার্য্য করে আসামীদের কারাগারের পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতের এমন আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দায়িত্বরত পুলিশের ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান
‘ভোর থেকে নদীতে প্রচণ্ড কুয়াশার জন্য উদ্ধার অভিযানে ব্যাঘাত ঘটেছে। ট্রলারডুবির ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত ডুবে যাওয়া ট্রলারের সন্ধান পাওয়া যায়নি। কারও মরদেহ উদ্ধারও করা যায় নাই ।’ বলেছেন, ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আলম
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্রার বুড়িগঙ্গা নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় তিনজনকে আসমি করে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের নৌ নিরাপত্তা বিভাগের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বাবু লাল বৈদ্য বাদি হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় এ মামলা করেন।
মামলায় গ্রেফতারকৃত মেসার্স ফারহান নেভিগেশনের এমভি ফারহান-৬ নামক লঞ্চের মাস্টার কামরুল হাসান (৪০), ইনচার্জ ড্রাইভার মো. জসিম উদ্দিন ভুইয়া (৪০) ও সুকানি মো. জসিম মোল্লাকে (৩০) আসামি করা হয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা বক্তাবলীর নৌ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক আব্দুল মতিন জানান, গ্রেফতারকৃতদের পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) তাদের আটক করা হয়েছিল।
এদিকে ঘটনার প্রায় দুইদিন পার হলেও বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেল ৫টা পর্যন্ত ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ কাউকে উদ্ধার করা যায়নি। তবে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়ছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সেরর উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, তিনটি ডুবুরি দল উদ্ধারের কাজ করছে। এখনো ট্রলারের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এছাড়া নিখোঁজ কাউকে উদ্ধার করাও সম্ভব হয়নি।
যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া ট্রলারের যাত্রীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন বক্তাবলী এলাকার কলেজ শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন, নেয়ামতপুর এলাকার মসজিদের মোয়াজ্জিন আব্দুল্লাহ,উত্তর গোপাল নগর এলাকার মোতালেব মিয়া, চর বক্তবলীর আওলাদ হোসেন, একই এলাকার পোশাকশ্রমিক জোসনা বেগম, বৃদ্ধ হকার শামসুদ্দিন এবং চর মধ্য নগরের জিয়াসমিন আক্তার। তার তিন সন্তানদের মধ্যে ১৫ বছর বয়সী মেয়ে তাসনিম আক্তার, আট বছর বয়সী ছেলে তামিম ও দেড় বছরের ছোট শিশু তাসফিয়াও নিখোঁজ রয়েছে।
এদিকে নদীর তীরে নিখোঁজদের স্বজনরা তাদের প্রিয় মানুষের জন্য অপেক্ষা করছে। বারবার আহাজারি করে প্রিয় মানুষটিকে ফিরে পেতে চাইছেন তারা।









Discussion about this post