যার কথা বলা হচ্ছে (শামীম ওসমান) তিনি একটা দলের আদর্শ নীতি শৃঙ্খলা নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ ইত্যাদি লালন করেই কিন্তু এতবড় নেতা হয়েছেন। উনি যদি আজ সেগুলো প্রতিপালন না করেন এবং তিনি যদি এই দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন, আমাদের কাছে যেসব খবর আসছে আমরা সেগুলোর তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ করছি। যখন বিষয়টি নিশ্চিত হবে যে উনি আমাদের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন তখন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা ছাড়া আমাদের কাছে বিকল্প কোন কিছু থাকবে না। তার বিরুদ্ধে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাজনীতিতে কোনো ব্যক্তি শৃঙ্খলার উর্ধ্বে নয় এবং অপরিহার্যও নয় বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব ভবনে একটি চাইনিজ রেস্তোরাঁয় স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শামীম ওসমান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি দলের আদর্শ, নীতি, শৃঙ্খলা, নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ ইত্যাদি ধারণ করেই তিনি এত বড় নেতা হয়েছেন। উনি যদি আজ সেগুলো প্রতিপালন না করেন, এবং তিনি যদি দলের প্রার্থীর উর্ধ্বে অবস্থান নেন। আমাদের কাছে কিছু বার্তা এসেছে, আমরা সেগুলোর তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করছি। সেগুলো যাচাই বাছাই করে আমরা যদি প্রমাণ পাই তিনি সত্যই আমাদের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন তাহলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া আমাদের আর করার কিছুই থাকবে না।
তিনি বলেন, শুনেছি জাতীয় পার্টির ৪ জন চেয়ারম্যান গতকাল তৈমুর আলমের পক্ষে কাজ করেছেন। সেজন্য আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় পার্টির সাথে কথাবার্তা বলছি। জাতীয় পার্টি যদি নারায়ণগঞ্জে তাদের অবস্থান পরিষ্কার না করে। যদি তারা জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপট বিবেচনা না করে তাহলে তাদের সাথে আমরা জোটগত অবস্থান নিয়ে কিছু প্রশ্ন তো উঠবেই। এবং আমার কাছে মনে হয় আজ বা কালকের মধ্যেই বিবৃতি দিয়ে তারা তাদের অবস্থান পরিষ্কার করবে।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন আমাদের দলীয় প্রধান দেখতে চান। এবং সরকার প্রধান হয়ে তিনি সেটি নিশ্চিত করবেন। এবং নির্বাচন কমিশনও এটি নিশ্চিত করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনাদের কাছে হয়ত আরও তথ্য থাকতে পারে। তবে আমাদের কাছে যে তথ্য আছে সে হিসেবে আইভী বিপুল ভোটেই জয়লাভ করবে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রান ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য আনিছুর রহমান দিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আরজু রহমান ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাতসহ অনেকে।









Discussion about this post