নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ধলেশ্বরী নদীতে বরিশালের ভোলা থেকে ঢাকামুখী এমভি ফারহান ৬ নামের একটি যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া ট্রলার ও নিখোঁজ ১০ জন যাত্রী উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীদের অবহেলার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন স্বজনরা।
শনিবার ৮ জানুয়ারী দুপুর ১২টায় ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ খেয়াঘাটের সামনে প্রায় এক ঘন্টা বিক্ষোভ করা হয়। এসময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে উদ্ধারকারী কেউ নদী থেকে তীরে আসেনি।
বিক্ষোভকারী স্বজনরা জানান, ৪ দিন হলো লঞ্চের ধাক্কায় যাত্রীসহ ট্রলার ডুবির ঘটনা। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ড ও নৌপুলিশসহ উদ্ধারকারী কোন সংস্থাই তেমন তৎপরতা দেখায়নি। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীরা স্পীডবোটে নদীতে ঘুরে আর বসে বসে সময় কাটান। এভাবে পানির নিচ থেকে কিছুই উদ্ধার করা যাবে না। তাদের এ অবহেলা সরকারের সংস্থা গুলোর দুর্নাম করছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, আমাদের ফায়ার সার্ভিস সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। পাশাপাশি কোস্টগার্ড, নৌপুলিশও চেষ্টা চালাচ্ছে। যতক্ষণ ট্রলার ও নিখোঁজদের সন্ধান পাওয়া না যাবে ততক্ষন আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর নৌ-নিরাপত্তা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে ঘাতক লঞ্চ এমভি ফারহান-৬ এর মাস্টার, চালক ও সুকানি সহ ৩জনের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহিলোর অভিযোগে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছেন।
এদিকে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে আহবায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ। আগামী দশ কার্য্যে দিবসের মধ্যে এঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়েছে, বুধবার সকাল সাড়ে ৮ আটটার দিকে ফতুল্লা ধর্মগঞ্জ খেয়াঘাটের ৫০০ গজ পশ্চিমে ধলেশ্বরী নদীতে ঘন কুয়াশার মধ্যে ৪০/৫০ জন যাত্রীসহ খেয়া পারাপারের একটি ট্রলার ধর্মগঞ্জ খেয়াঘাটের পশ্চিম তীর হতে ধর্মগঞ্জ ঘাটে আসার সময় ভোলা জেলার বেতুয়া (চরফ্যাশন) থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা অভিমুখী এম.ভি ফারহান-৬ নামীয় একটি লঞ্চ অত্যন্ত দ্রæত ও বেপরোয়া গতিতে এসে সজোরে ট্রলারটিকে ধাক্কা দিলে যাত্রীসহ ট্রলারটি ডুবে যায়।









Discussion about this post