নারায়ণগঞ্জ জেরার বন্দর উপজেলার মদনপুরের গাজী পেপার মিলস্ লিমিটেডে বয়লার বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ মো. শাহিন (৪২) নামের আরও একজন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ছয়টার দিকে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ চারজনেরই মৃত্যু হলো। নিহত শাহিন কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থানার মফিজুর রহমানের ছেলে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন পার্থ শংকর পাল গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত শনিবার (১৫ জনুয়ারি) রাতের এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রথম দিনেই মো. হানিফ (৪২) ও আব্দুল হক (৫৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
গতকাল সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে হাফিজুর রহমান (২৬) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়।
হানিফ চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার মোকসেদ আলীর ছেলে এবং ওই ফ্যাক্টরিতে অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। হাফিজুর পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার মাহবুব হাওলাদারের ছেলে। আব্দুল হকের পারিবারিক পরিচিত জানা যায়নি।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জের পেপার মিলের আগুনে দগ্ধ হয়ে চারজন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের সবাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।









Discussion about this post