নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌরসভার দত্তপাড়া এলাকায় দুই পুলিশ কমর্কর্তা (এসআই) নিহত হওয়ার ঘটনায় পালিয়ে যাওয়া সেই আসামি আলমগীর হোসেনকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। দুই দারোগা মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলেও এমন লোমহর্ষক ঘটনায় কোন মামরা হয় নাই বলে জানিয়েছেন সোনারগাঁ থানার ডিউটি অফিসার উপ পরিদর্শক মামুন । দুই দারোগার এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটায় মামলা হবে কেন বলেও প্রতিবেদককে উল্টো প্রশ্ন করেন ডিউটি অফিসার মামুন । দুই জন দারোগার মৃত্যুর ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলাও তো হতে পারে এমন প্রশ্নে উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলার পরামর্শ দিয়ে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি।
ঘটনা বিস্তারিত জানতে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের উর্ধতন কয়েকজন কর্মকর্তাদেরে সরকারী মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও কেউ ফোন গ্রহণ না করায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নাই ।
তবে নারায়ণগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মোস্তাফিজুর রহমান মঙ্গলবার ১৮ জানুয়ারী বিকাল ৫ টায় গণমাধ্যমকে জানান, সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আসামিকে মঙ্গলবার বিকাল ৫ টা পর্যন্ত গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। নিহত দুই এস আইয়ের ময়নাতদন্ত নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মগে সম্পন্ন হওয়ার পর নিহতদের নামাজের জানাযা দুপুরে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইনসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ।
তিনি আরও জানান, আসামির কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ইয়াবা পানিতে পড়ে যাওয়ায় কিছু গলে গেছে, বাকিগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁওয়ের মেঘনা টোলপ্লাজায় তল্লাশি চৌকিতে একটি প্রাইভেটকারকে থামার জন্য সংকেত দেয়ার পর সেটি এক কনস্টেবলকে আহত করে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া করে আলমগীর হোসেনকে প্রাইভেটকারসহ ধরতে সক্ষম হয় পুলিশ। ওই সময় প্রাইভেটকারটি তল্লাশী চালিয়ে ৪২ হাজার পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয় ও একটি নিল রঙের প্রাইভেটকার (ঝালকাঠি গ ১১-০০০৪) জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ৪২ হাজার পিছ ইয়াবার মূল্য আনুমানিক ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা বলে জানিয়েছে পুলিশ। এরপর আলমগীরকে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আনা হয়। এ সময় সে গাড়ি চালিয়েছে। এসপি অফিসে সংবাদ সম্মেলনের পর তাকে নিয়ে এবার থানায় যাওয়ার জন্য রওয়ানা দেন দুই এসআই ও এক এএসআই। তবে তাদের তিনজনের কেউই গাড়ি চালাতে পারতেন না। ফলে তারা আসামিকে গাড়ি চালানোর দায়িত্ব দেন। এ সুযোগে নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ উপজেলার দত্তপাড়া এলাকায় গাড়ি থেকে কৌশলে লাফ দিয়ে তা খাদে ফেলে দিয়ে চালক পালিয়ে যায়। এতে দুই এসআই নিহত হন ও গুরুতর আহত হন এক এএসআই।
নিহতরা হলেন ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার মুনসুরাবাদ গ্রামের কাজী নুরুল ইসলামের ছেলে কাজী সালেহ আহম্মেদ ও গোপালগঞ্জের চরভাটপাড়া গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে এসএম শরীফুল ইসলাম। তারা সোনারগাঁ থানায় কর্তরত ছিলেন।
পুলিশের দুই জন দারোগা মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দিতে নারায়ণগঞ্জ পুলিশের দায়িত্ব অবহেলার এরই মধ্যে নানা পদক্ষেপ চালিয়ে যাচ্ছে একটি পক্ষ । অনেকেই বলেছেন , “পুলিশ ভুল,করলেও,,আসামী ভুল করেনি,সুযোগ কাজে লাগিয়ে দুই পুলিশ হত্যা করে পালিয়ে গেলো ! এই হত্যাকান্ডের দ্বায় কার ?









Discussion about this post