বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার পর নানা গুঞ্জন ছিলো নারায়ণগঞ্জে । নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের সদস্যদের সাথে গোপন আঁতাত করে শেখ হাসিনার অত্যান্ত পছন্দের প্রার্থী ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভীকে যে কোন মূল্যে পরাজিত করতে নগরীর একজন চিহ্নিত রাজাকার পুত্রের প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের (একটি ক্লাবে বসে) পাতা ফাঁদে পা দিয়ে তুমুল সমালোচনার জন্ম দেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার । এই ফাঁদে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল বিতর্কের মুখে । ওই চিহ্নিত চক্রান্তকারীদের পাতা ফঁদে পা দিয়ে এটিএম কামালও আমেরিকা থেকে ছুটে আসেন ।
এমন সকল খবর ও নেতাদের আমলনামা বিএনপির ও শাসক দল আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের হাতে পাঠানো হয় স্ব স্ব দলের নেতারা । ওসমান পরিবারের সাথে তৈমূর ও এটিএম কামাল চক্রের গোপান আঁতাতের সকল চক্রান্ত প্রমাণ করে দেন অ্যাডভোকেট তৈমূর নিজেই । শুকবার (৭ জানুয়ারী) হাতী প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় সরব উপস্থিতি দেখা যায় ওসমান পরিবারের বাধ্যগত বিতর্কিত রাজনীতিবিদ ও রাজাকার পুত্রসহ ৪ জন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। ওই সময় বন্দরে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে লক্ষ্মণখোলা এলাকায় গণসংযোগ ও মিছিল করেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর সঙ্গে দলবল নিয়ে অংশ নেন ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ঠ চার ইউপি চেয়ারম্যান—বন্দর ইউনিয়নের এহসান চৌধুরী, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের দেলোয়ার হোসেন, মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন ও ধামগড় ইউনিয়নের কামাল হোসেন।
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তৈমূর আলম খন্দকার ও এবং তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী সাংবাদিকেদের কে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তাদের প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন রিজভী।
এর আগে, ভোট বয়কটের দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক পদ ও দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এদিকে এটিএম কামাল বলেন, ‘আমি এখনো চিঠি পাইনি। তবে, জেলা বিএনপির সদস্য রুহুল আমিন গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় একটি চিঠি ছড়িয়ে দিচ্ছে। এতে আমি বিব্রত। কিন্তু, দলের সিদ্ধান্ত হলে আমি মেনে নিবো। আমি দলের কর্মী হিসেবে বেঁচে আছি ও থাকব। দল আমাকে পদ পদবীতে না রাখতে পারে। কিন্তু, আমার কাছ থেকে শহীদ জিয়ার আদর্শ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। আমি দলের কর্মী হয়ে থাকবো।’








Discussion about this post