উচ্চ আদালতের এমন আদেশের পূর্ব থেকেই পরিবেশ অধিদপ্তরের অসাদু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এককালীন এবং পরবর্তীতে নিয়মিত মাসোয়ারা নিয়ে অবৈধ পন্থায় ইট ভাটা তৈরীর জোড়ালো অভিযোগ রয়েছে । নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের অসাধু কর্মকর্তারা ইটভাটা ছাড়া জেলার প্রতিটি উপজেলার প্রতিটি কল কারখানা, মিল ফ্যাক্টরী থেকে একই কায়দায় মাসায়ারা গ্রহণের জোড়ালো অভিযোগ থাকলেও এই অসাধু কর্মকর্তাদের টিকিটি কেউ স্পর্শ করতে পারে না ।
এর কারণ হিসেবে মাসোয়ারা প্রদানকারী এক ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আকাশের যত তাঁরা, পরিবেশ অধিদপ্তরের অসাধু কর্মকর্তাদের তত ধারা ! তাদের নিয়মিত মাসোয়ার ছাড়াও ব্যবসার শুরুতে অগ্রিম বাবদ মোটা অংকের বখড়া না দিলে ব্যবসা বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয় এই অসাধুরা । ফলে বাধ্য হয়েই এই অসাধুদের সাথে হাত মিলাতে বাধ্য হয়েছি । এমন সকল ব্যবসায়ীই জিম্মি এই পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে । তাদের বিরুদ্ধে কোন কথা বলা যাবে না। এই অসাধু চক্র নাকি নিয়মিত তাদের উর্ধতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনতিবিদদের নিয়মিত নানাভাবে সুবিধা দিয়েই অবৈধ ইট ভাটাসহ সকল কাল কারখানা, মিল ফ্যাক্টরীতে বিশাল চাঁদাবাজি করেই যাচ্ছে বিরামহীনভাবে। দম্ভাকারে এমন মন্তব্য করেই চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে এই অসাধু চক্র । ইটভাটায় বিশাল চাঁদাবাজি করে একেকজন সরকারী কর্মচারী কোটি কোটি টাকার মালিক। ফলে উচ্চ আদালতের এমন আদেশে কোন ভ্রুক্ষেপ নাই পরিবেশ অধিদপ্তরের অসাধু কর্মকর্তাদের !“
নারায়ণগঞ্জ জেলার অবৈধ ইটভাটার তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট
নারায়ণগঞ্জসহ ৫ জেলায় অবৈধ ইটভাটার তালিকা অবৈধ ইটভাটার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো.আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
১৫ ফেব্রুয়ারি এই ৫ জেলার ডিসিকে ব্যক্তিগতভাবে জুমে সংযুক্ত থেকে এ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। নারায়ণগঞ্জ ছাড়া অন্য ৪ জেলা হলো-ঢাকা, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, ও মানিকগঞ্জ।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আমাতুল করিম।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সাঈদ আহমেদ রাজা। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষে আইনজীবী মুনীরুজ্জামান।
এর আগে, গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি বায়ু দূষণ রোধে ঢাকা শহরের প্রবেশমুখ গাবতলী, যাত্রাবাড়ি, পূর্বাচল, কেরানীগঞ্জ, টঙ্গীসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পানি ছিটানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।









Discussion about this post