“কি তামশা! সব ফকফকা ! ও মানিক কি বাত্তি লাগাইলি ?“ ফিলিপস বাত্তির বিজ্ঞাপনের বহুল প্রচলিত এই মন্তব্য এবার সকলের মুখে উচ্চারিত হচ্ছে সোনারগাঁ হাইওয়ে পুলিশের উচ্ছদ অভিযানের পর । কয়েদিন পর পর রোক দেখানো এমন অভিযান করে উচ্ছেদ করা হলেও মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে উচ্চ হারে ফের উৎকোচ বিনিময়ে আবার দখল হওয়ার ঘটনায় হয়রানীর শিকার ভূক্তভোগি সকলের মুখে এমন টিপ্পনী শোনা যাচ্ছে ।
অনেকেই বলেছেন একটি প্রভাবশালী চাঁদাবাজ চক্র নানান পন্থায় এই সড়ক দখল করে বিশাল চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে বছরের পর বছর যাবৎ । সেই চাঁদাবাজির অর্থ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্তা, রাজনীতিবিদদের কেউ কেউ ও অসাধু বিশেষ পেশার নামধারীরা নিয়মিত মাসোয়ার গ্রহণ করায় দখলকারীদের কোন ভাবেই উচ্চেদ করা সম্ভব হচ্ছে না । আর এই দখলদারদের কারণে লাখো মানুষ প্রতিদিন নানাভাবে হয়রানীর শিকার হলে এমন গুরুতর অভিযোগের পর প্রায়ই লোক দেখানো অভিযান চালায় বিভিন্ন প্রশাসনিক সংস্থার কর্তারা । যার স্থায়িত্ব হয়ে থাকে সর্বোচ্চ কয়েক ঘন্টা । এমন অভিজ্ঞতায় এলাকাবাসী সমালোচনা করে বলেছে, “কি তামশা! সব ফকফকা ! ও মানিক কি বাত্তি লাগাইলি ?“
সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর ও মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় কয়েকশত অবৈধ দোকান ও ফুটপাত উচ্ছেদ করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। তবে, উচ্ছেদ চালানোর পরপরই দোকানদাররা যার যার স্থানে ফের দোকান সাজিয়ে বসেছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি সাজ্জাদ জানান, ঢাকা চট্টগ্রাম দেশের একটি গুরুত্বপুর্ণ মহাসড়ক। বিশেষ করে কাঁচপুর ও মোগরাপাড়া স্থানটি মহাসড়কের সবচেয়ে জন সমাগমপূর্ণ স্থান। দুটি স্থানে দিনে কয়েক হাজার পথচারী ফুটওভার ব্রিজ পারাপার হয়ে বিভিন্ন স্থানে আসা যাওয়া করেন। কিন্তু কিছু অসাধূ লোক টাকার বিনিময়ে দোকানপাট বসিয়ে পথচারীদের হাটাচলার পথ বন্ধ করে দেন। এতে প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হোন পথচারীরা। এছাড়া মহাসড়ক দখল করে ফুটপাত বসানোর কারণে লোকাল বাস ও ছোট ছোট যানবাহন রাখার জায়গা থাকেনা। এতে মানুষের ভোগান্তীর শেষ নেই। সেজন্য গত কয়েকমাস আগেও আমরা উচ্ছেদ পরিচালনা করেছিলাম কিন্তু অবৈধ দখলদাররা উচ্ছেদের পর পরই দোকান তুলে বসে যান। তাদের কারণে আজ ফের কয়েকশত দোকান উচ্ছেদ করেছি। আমাদের এ উচ্ছেদ চলমান থাকবে।









Discussion about this post