নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদ্য নির্বাচিত কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলামের ছেলে এবং একই ওয়ার্ডের বিলুপ্ত কমিটির ছাত্রলীগ সভাপতি ইলিয়াস ইসলাম লিয়নের বিরুদ্ধে এসপি ও ডিসিসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন সাতজন ব্যবসায়ী।
ডিশ ব্যবসা দখলের চেষ্টার অভিযোগে বিটিভির মহাপরিচালক, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ করেছেন তারা।
চরম আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকা নাসিকের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাত ডিশ ব্যবসায়ী গত রবি ও সোমবার এ আবেদন করেন।
কাউন্সিলরের ছেলের ডিশ ব্যবসা দখলের পাঁয়তারার ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জের সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ, অসন্তোষ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
বিটিভির মহাপরিচালক, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর করা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, তারা বিগত ২১ বছর ধরে নাসিক ১ নম্বর ওয়ার্ডের মিজমিজি, মিজমিজি পূর্বপাড়া, পাইনাদী, পাইনাদী নতুন মহল্লা, পাগলাবাড়ী, মুজিববাগ, আল-আমিন নগর, মিজমিজি বাতানপাড়া, সিআই খোলা, হিরাঝিল ও সিদ্ধিরগঞ্জপুল এলাকায় বৈধ ও শান্তিপূর্ণভাবে ডিশ ব্যবসা করে আসছেন।
কিন্তু সম্প্রতি নাসিক ১ নম্বর ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলামের ছেলে (১ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি) ইলিয়াস ইসলাম লিয়ন নারায়ণগঞ্জ শহরের পাইকপাড়া এলাকার ডিশ ব্যবসায়ী আব্দুল করিম বাবুর মালিকানাধীন এসবি স্যাটেলাইট ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কের শাখা অফিস এনে তার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য নানাভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।
এককালীন অফেরতযোগ্য পাঁচ লাখ টাকা এবং মাসিক ৭০ হাজার টাকা সার্ভিস চার্জ দাবি করে জরুরি ভিত্তিতে তার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার জন্য ইলিয়াস ইসলাম লিয়ন ও তার সহযোগীরা ক্রমাগতভাবে চাপ প্রয়োগ করে আসছেন।
অন্যথায় তিনি যে কোনো মূল্যে আমাদের বৈধ ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুশিয়ারি দিয়ে আসছেন। অথচ ক্যাবল ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য তার কাছে কোনো লাইসেন্সসহ বৈধ কাগজপত্র নেই।
নাসিক নির্বাচনে তার পিতা কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই লিয়ন ও তার সহযোগীরা সরকারি আইনকানুনকে তোয়াক্কা না করেই এলাকায় বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।
এতে করে অত্র এলাকায় দীর্ঘদিনের শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল ব্যবসায়িক পরিবেশ চরমভাবে বিনষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
ফলে তারা এবং এলাকার সাধারণ মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ কারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রিফাত ফেরদৌস বলেন, আবেদন পেয়েছি। যারা এ বিষয়টি তদন্ত করবেন সেই সংশ্লিষ্ট বিভাগে আবেদনটি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।









Discussion about this post