আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে করোনার প্রথম ডোজ বন্ধ হয়ে যাবে এমন খবরে দীর্ঘক্ষণ দাড়িয়ে থেকে টিকা না পেয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের হল রুম ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। ওই সময়ে তারা হলরুমের প্রবেশ পথের গ্লাস ও দরজা ভাঙচুর করে।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে ওই ঘটনার পর থেকে টিকা দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়।
ওইসময় পুলিশ ও র্যাবকে খবর দিলে তারা দ্রুত এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেছে। তিনি আরো জানান, বুধবার টিকা দিতে বুথের সংখ্যা ও লোক সংখ্যা বাড়ানো হবে। একই সঙ্গে সার্বিক নিরাপত্তা আরো বাড়ানো হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারির পর করোনার টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ রাখা হবে এমন খবরের পর মঙ্গলবার সকাল থেকে উপজেলা কার্যালয়ে ব্যাপক লোকজনের সমাগম ঘটে। এক পর্যায়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে এক পর্যায়ে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন শৃঙ্খলা ফেরাতে ব্যর্থ হন। পরে বিকেল ৩টার দিকে উপস্থিত লোকজন উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনের চেয়ার-টেবিল, দরজা-জানালা ব্যাপক ভাঙচুর করেন কয়েকজন যুবক।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রিফাত ফেরদৌস বলেন, বিপুল সংখ্যক লোকজন টিকা নিতে আসার কারণে এ ঘটনা ঘটে। আগামীকাল বুধবার থেকে আরো অতিরিক্ত ১০টি বুথ বাড়ানো হবে । যাতে কেউ ফিরে যেতে না হয় সে লক্ষ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে । আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রণ করা হবে কঠোভাবে যাতে কোনো ঘটনা না ঘটে ।









Discussion about this post