প্রায় আড়াই কোটি টাকার প্রতারনার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ সেন্ট্রাল খেয়াঘাটের এক সময়ের পরিচালক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দিদার খন্দকার । একই সাথে এই দিদার খন্দকার নাসিক নির্বাচনে নগরীর ১৪ নং ওয়ার্ড থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয় করেও পরাজিত হন। এমন অভিযোগ ছাড়াও দিদার খন্দকারের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ ।
নাারায়ণগঞ্জ আমলী আদালত ক অঞ্চলে দায়ের করা ৫৮/২০২২নং মামলায় প্রতারণার অভিযোগ কয়েক দফা শুনানী শেষে আদালত দিদার খন্দকার ছাড়াও তার চাচা আজিজ খন্দকার, আবদুল কুদ্দুস খন্দকার ও নগরীর কলেজ রোড এলাকার আব্দুল আউয়ালের পুত্র আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে ।
১২ জানুয়ারী আদালতে দায়ের করা প্রতারণা মামলার বাদী মতিউর রহমান সুমন উল্লেখ করেন, দিদার খন্দকার ও তার চাচার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ১৫ দশমিক ৪২ শতাংশ জমির উপর বহুতল ভবন নির্মান করতে চুক্তিবব্ধ হন দিদার খন্দকার গং। চুক্তি মোতাবেক ১০ তলা ভবন নির্মানের পর ৬২ দশমিক ৫০% শেয়ারের মালিকানা মতিউর রহমান । আর বাকী ৩৭ দশমিক ৫০% শেয়ারের মারিকানা দিদার খন্দকার ও তার পরিবারের সদস্যরা । এই মোতাবেক ভবন নির্মানের পর মতিউর রহমান সুমনের পারিবারিক ঝামেলার সুযোগ নিয়ে খন্দকার টাওয়ারের নাম করে দিদার খন্দকার ও তিন জন অংশিদার আজিজ খন্দকার, আবদুল কুদ্দুস খন্দকার ও আবুল হোসেন ফ্ল্যাট বিক্রি করছে কোন ধরণের আইনগত ভিত্তি ছাড়াই। পুরো ভবন দখল করে এমন কর্মকান্ড ছাড়াও জনসাধারণের সাথে প্রতারণা করে ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রিও করছে । তাদের নামে হাউজিং কোম্পানীর কোন লাইসেন্স না থাকার পরও আবসিক প্লান পাশ করিয়ে বাণিজ্যিকভাবে জান্নাত কনভেনশন সেন্টারের ব্যবসা চালিয়েই যাচ্ছে কোন ধরণের অনুমতি ছাড়াই। এমন ঘটনা ছাড়াও ২ টি ফ্ল্যাট বিক্রি করে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা আত্মস্যাত করে উল্টো মামলার বাদীকে হত্যার হুমকি দিয়ে মারধরের চেষ্টা করেন বলেও মতিউর রহমান সুমন জানান।
এ বিষয়ে দিদার খন্দকারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে একটি মামলায় ওয়ারেন্ট হয়েছে । আমরা বাহিরে আছি ।









Discussion about this post