নারায়ণগঞ্জের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অসাধু কর্মকর্তা, ক্ষমতাধর রাজনৈতিক হোমরাচোমরা, বিশেষ পেশার কিছু চেলা চামুণ্ডার হাতে প্রতিমাসে উৎকোচ প্রদান করে বছরের পর বছরজুড়ে নগরীর ২ নং রেল গেইট এলাকার পুরো চত্ত্বর দখল করে অবৈধ বাসস্ট্যান্ড গড়ে তুলে চরম দূর্ভোগ সৃষ্টি করে আসছিলো বন্ধন ও উৎসব পরিবহন ।
উল্লেখযোগ্য অসাধু চক্র ম্যানেজ ছাড়াও নগরীর সকল অবৈধ স্ট্যান্ড পরিচালনা করতে লাঠিয়াল বাহিনীর উপস্থিতি দেখা যায় প্রতিনিয়ত ।
নারায়ণগঞ্জ শহরকে ব্যর্থ নগরী হিসেবে সর্বত্র পরিচিত করতে বছরের পর বছর যাবৎ পরাজিত একটি চক্র হকার ও পরিবহন সন্ত্রাসের মাধ্যমে পুরো নারায়ণগঞ্জ কে একেবারেই মগের মুল্লুকে পরিণত করে রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই।
এমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ঘটনায় কারো মুখে কোন রা ছিলো না এতো দুর্ভোগের পরও । প্রশাসনের ব্যর্থতার চিত্র যেন প্রতিনিয়ত ফুটে উঠেছে।
এমন অসংখ্য অবৈধ স্ট্যান্ডের নাকাল নগরবাসী।
কম দূরত্বের গন্তব্যে যেতেও স্বাভাবিক সময়ের থেকে কয়েকগুণ বেশি সময় লাগে তাদের। নগরের এই যানজটের জন্য সচেতন মহলসহ নগরবাসী দুষছেন হকার, অবৈধ যান ও স্ট্যান্ডকে। তারা বলছেন এইসব নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে একসময় বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে এই শহর। নগরবাসীর এই আশঙ্কা ও ক্ষোভের সাথে একমত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এই বিষয়ে নিজের শঙ্কা প্রকাশ করেন এবং যানজট নিরসনে জেলা পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেন।কিন্তু তারপরেও কমছে না যানজট। খোদ মেয়র নিজেও অনেক সময় দীর্ঘ যানজটে বসে থাকেন।
রোববার (৬ মার্চ) সকালে এক অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময় গাড়ি থামিয়ে মেয়র আইভী নিজেই নেমে পরেন ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে। নগরীর ২ নং রেলগেইট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে নগরীর ২ নং রেলগেইট এলাকায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের পার্শ্ববর্তী ফজর আলী ট্রেড সেন্টারের সামনে কোন স্টপেজ না থাকলেও গাড়ি থামিয়ে যাত্রী নেন ঢাকাগামী বিভিন্ন পরিবহন। এতে সব সময় যানজট লেগে থাকে এই এলাকায়। দীর্ঘ সময় যানজটে বসে থাকেন নগরবাসী। পাশেই ট্রাফিক বক্স থাকলেও মিলছে না সুফল। অভিযোগ আছে তাদের ম্যানেজ করেই দীর্ঘ দিন ধরে এখানে স্টপেজ না থাকলেও গাড়ি থামিয়ে যাত্রী নেন ঢাকাগামী বিভিন্ন পরিবহন।
বিষয়টি জানার পর অবৈধ স্টপেজ দেখতে সরেজমিনে আসেন মেয়র আইভী। এসময় মেয়র আইভীকে দেখে দৌড়ে আসেন দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট। মেয়র এইসময় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের পার্শ্ববর্তী ফজর আলী ট্রেড সেন্টারের সামনে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী উঠানোর সুযোগ না দেয়ার জন্য কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যকে নির্দেশনা দেন। মেয়রের এ কর্মকাণ্ডে সাধুবাদ জানিয়েছেন উপস্থিত নগরবাসী। যানজট থেকে মুক্তি পেতে হকার, অবৈধ যান ও স্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণে পুলিশের আরও কার্যকর ভূমিকা দেখতে চায় নগরবাসী।









Discussion about this post