অসংখ্য চাঁদাবাজির মামলার পরও প্রকাশ্যে বুক ফুলিয়ে পুরো ফতুল্লা শিল্পাঞ্চল এলাকায় চাঁদাবাজির রাম রাজত্ব অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে আজিজুল ওরফে বরিশাইল্লা আইজ্জা ।
জনশ্রুতি রয়েছে শাসক দলের স্থানীয় নেতা পলাশ ও মীর সোহেলের শেল্টারে এবং তাদের সাথে নিয়মিত চাঁদাবাজির কোটি কোটি টাকার ভাগ-বাঁটোয়ার হওয়ার কারনে বন্দ করা যাচ্ছে না এমন অপরাধ । আবার এমন নেতাদের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে অপরাধ ঘটলে নিজেদের ভাবমূর্তি রক্ষায় চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখাও যায় নাই ।
এমন অভিযোগের বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা সংবাদ প্রকাশ করলে মামলা দিয়ে, হাত কেটে নেয়ার হুমকি দিয়ে, পুলিশের সহায়তায় সাংবাদিকদের হয়রানির জ্বলন্ত উদাহরণও সৃষ্টি করেছে ওই নেতাদের কেউ কেউ ।
পুরো ফতুল্লার অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ওই নেতাদের শেল্টার, পুলিশের আশির্বাদ ও স্থানীয় বিশেষ পেশার নামধারীরা নিয়মিত মাসোহারা গ্রহণ করার কারণেই চাঁদাবাজ টোকাই বরিশাইল্লা আইজ্জা বারবার গ্রেফতার ও জেল খাটার পরও বীরের বেশে ফুলের মালা গলায় দিয়ে শোডাউন করার দৃশ্য এই নগরীতেই দেখা যায় । একই সাথে সাংবাদিক সম্মেলন করেও এই চিহ্নিত চাঁদাবাজ আজিজুল ওরফে বরিশাইল্লা আইজ্জার আস্ফালন দেখার সাহস করে ওই বিতর্কিত নেতাদের শেল্টারেই
“একটি চক্র একই অপরাধ কতবার করতে পারে ? কত মামলা ? কতবার গ্রেফতার হতে পারে ! এই চক্রের হোতাদের হাত থেকে মুক্তির উপায় কি ?” এমন মন্তব্য খোদ ফতুল্লা থানা পুলিশের অনেকেই করেছেন ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে, শ্রমিক লীগ এবং যুবলীগের শেল্টারের ফতুল্লার অটো চাঁদাবাজ বরিশাইল্যা আজিজুল বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
দীর্ঘদিন ধরে ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত রিকশা থেকে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলেই চালকদের ধরে নিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে।
গত সোমবার বিকেলে পাগলা বাজার এলাকায় একটি ইজিবাইক আটক করে চাঁদা দাবি করে। এসময় ইজিবাইকের চালক খলিল চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়।
এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় আজিজুলসহ ১০জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
খলিল জানায়, আজিজুল বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে আমার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করার কারণে বিভিন্ন সময় আমাকে হুমকি প্রদান করে। গত সোমবার বিকেলে আমি পাগলা বাজারে গেলে চাঁদাবাজ আজিজুলের নেতৃত্বে আমার ইজিবাইক আটক করে আমার কাছে চাঁদা দাবি করলে আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করি। এসময় আজিজুলসহ তাঁর সহযোগিতারা আমাকে বেধড়ক মারধর করে আমার ইজিবাইক রেখে দেয়।
ভুক্তভোগী একাধিক ইজিবাইক চালক জানায়, আজিজুল বাহিনীকে চাঁদা দিতে অস্বীকার করলেই তাঁর বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে আমাদের নানা ভাবে হয়রানি করে থাকে। ইজিবাইক আটক রাখা, সীট খুলে নিয়ে যাওয়া, ব্যাটারি রেখে দেয়াসহ আমাদের শারীরিক ভাবেও লাঞ্ছিত করে থাকে। আজিজুল বাহিনীর বিরুদ্ধে কেউ ব্যবস্থা না নেয়ায় আমরা এই বাহিনীর কাছে জিম্মী হয়ে পরেছি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আজিজুল বাহিনী শ্রমিক নেতা পলাশ এবং নতুন করে যুবলীগ নেতা মীর সোহেলের শেল্টারে ফতুল্লায় চাঁদাবাজির রামরাজত্ব কায়েম করেছে। চাষাঢ়া থেকে শুরু করে পোস্তগোলা এবং আশেপাশের শাখা রোডে ইজিবাইক, ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা চালাতে গেলে আজিজুল বাহিনীকে চাঁদা দিতে হয়। কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকার করলেই তাঁর উপর নেমে আসে নির্যাতন। নানা ভাবে হয়রানি করা হয়। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার ও র্যাব সদস্যদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী মহল।
উল্লেখ, পুলিশ সুপার হারুন নারায়ণগঞ্জে আসার পর আজিজুল বাহিনী আত্মগোপন করে।









Discussion about this post