প্রবাদে আছে, “ ইজ্জত যায় না ধুইলে, খাইসলত যায় না মইলে !” অর্থ্যাৎ যার যে স্বভাব তার সেই স্বভাব কখনোই পরিবর্তন করতে পারে না । যদি না তার মন থেকে পাপ দূর না করতে পারে । সেই এমন প্রবাদ দীর্ঘদিন যাবৎ নারায়ণগঞ্জ শহরের টানবাজার এলাকায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত রয়েছে ।
টানবাজার নয়ামটি এলাকার সাধারণ ব্যবসায়ীদের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “চোরে চোরে যদি মাসতোতো ভাই হয় তাইলে চুরি আর ঠেকাবে কে ? চুরি ঠেকাতে সূতার সংগঠন রয়েছে, সেই সংগঠনের হোতারা চোরাই কারবারীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে বিশাল অংক বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার টেবিলে টেবিলে পাঠিয়ে দিচ্ছে নিয়মিত। আর মাস শেষে ওই চোরাইকারবারীদের কাছ থেকে উত্তেলিত লাখ লাখ টাকার চাঁদার বন্টন হাতে পেয়ে তৃপ্তীর ঢেঁকুর তুলেই তুষ্ট থাকেন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার অসাধুরা কর্মকর্তারা । ফলে চোরাকারবারি ও অসাধু কর্মকর্তাদের ইজ্জত যায় না ধুইলে, খাইসলত যায় না মইলে !
নগরীর এই ব্যবসা সমৃদ্ধ অঞ্চল নয়ামাটি – টানবাজার এলাকায় চোরাকারবারিদের অনেকেই দীর্ঘদিন যাবৎ পেটের দায়ে এক প্রকার কামলা (লেবার) খাটতে এসে মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে রাতারাতি নানাভাবে চুরি, ডাকাতি, সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিশাল অর্থবিত্তের মালিক বনে গেছেন।
নারায়ণগঞ্জে অবস্থান করে সেই ৩০/৪০ জনের চেরাইকারবারী সিন্ডিকেট একেবারেই নির্বিঘ্নে বিরামহীনভাবে সরকারের শত শত কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চোরাই সূতার কারবার চালিয়েই যাচ্ছে ।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায় :
বছরের পর বছর যাবৎ প্রকাশ্যে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার সর্বোচ্চ একশ গজের মধ্যে সারাদিন সারারাতব্যাপী পুলিশ প্রহরায় সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চোরাই সূতার কারবার চালিয়ে আসছে সূতা চোরা কারবারীদের এই ৩০/৪০ জানের একটি সিন্ডিকেট ।
এই সিন্ডিকেট পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তা ছাড়াও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নিয়মিত প্রতিমাসে কয়েক লাখ টাকা ঘুষ প্রদান করে এমন অনৈতিক ব্যবসা চালিয়ে আসছে । চোরাই কারবারীদের বিরুদ্ধে এতো বছরেও পুলিশ বাদী হয়ে কোন মামলা না করলেও ২০১৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর কাস্টমস এন্ড বন্ড কমিশনারেট দপ্তরের দুই কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেলেও আসামীদের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ সখ্যতা থাকায় আসামীদের আটক করতে তেমন কোন অভিযান দেখা যায় নাই পুলিশের পক্ষ থেকে। তৎকালীন সূতা চোর মামুন কে লোকদেখানো গ্রেফতার করলেও তাকে জামাই আদরে রাখার অভিযোগ রয়েছে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে । সূতা চোর মামুনের বাবা সূতা চোরদের সর্দার তোতা মিয়া, মামা দবিরসহ তার পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে জামাই আদর পুলিশের সখ্যতার একটি ভিডিও চিত্রও পােওয়া গেছে ।
সূতা চোর চক্রের হোতা হাজি বিল্লাল ওরফে বেলাল এক সময়ে যিনি সামান্য কর্মচারী হিসেবে চাকরী করলেও বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের খানপুর ডনচেম্বারসহ বিভিন্ন এলাকায় একাধিক বহুতল ভবনের মালিক । আছে একাধিক গাড়ি, ব্যাংক ব্যলেঞ্চ কোটি কোটি টাকা।
তৎসময়ে বেলাল, জাহির হোসেনসহ ২০ জন চোরাকারবারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরর পর থেকে তৎকালীন সময়ে পুলিশের কোন অভিযান না করার সুযোগ নিয়ে মামলার অপর আসামী সূতা চোর চক্রের সদস্যরা উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়েছেন বলে চাউর হয়েছে পুরো টানবাজার জুড়েই । আর এই জামিন নিয়ে আরো জোড়ালোভাবেই শুরু করেছে সূতা চোরাই কারবার ।
এই চোরাই কারবারীরা জামিন নেয়ার পর থেকে একেকজন কমপক্ষে দুই কোটি টাকা করে ব্যয়ের পর চাঞ্চল্যকর মামলা গুলি নিস্কৃয় করে রেখে আবারো পুরোদমে একই কায়দায় অপারাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে । চোরাইকারবারীরা প্রকাশ্যেই দম্ভকারে জানান দিয়েই এমন কারবার চালিয়ে যাচ্ছে ভ্যাট, কাস্টমসসহ নারায়ণগঞ্জের আইনশৃংখলা বাহিনীকে ম্যানেজ করেই।
আর আইনশৃংখলা বাহিনীর অসাধুৃ কর্মকর্তাদের অনেকেই এই চিহ্নিত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে উল্টো পুলিশ প্রহরায় এমন চোরাই কারবার চালু রয়েছে ।
তথ্য সূত্রে আরো জানা যায় :
২০১৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে কাস্টমস কর্তৃক চোরাইকারবারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের কারার পর পর সাড়াসী অভিযান চালিয়ে সদর থানার ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মোঃ আবদুল হাই নারায়ণগঞ্জ সদর থানার টানবাজার এলাকা থেকে কুক্ষাত সূতা চোর চক্রের অন্যতম হোতা হাজী তোতা মিয়ার অন্যতম অনুসারী মামুন কে গ্রেফতার করে ।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে ওই মামলা দুটি দায়ের করেন ঢাকা রাজস্ব বোর্ডের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা নাহিদুল হাসান ও আতিকুর রহমান।
কাস্টমস আইনের ১৯৬৯ এর সেকশন ১৫৬ এর (১) এর ৫১ (ক), ৬২ তত্বসহ ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ এর (বি) ধারায় ওই মামলা দুটি দায়ের করা হয়। মামলা নং ৫৮ ও ৫৯।
মামলার অন্যতম আসামীরা হলো : হাজী বিল্লাল (বেলাল), হাজী ইসমাইল, ফরহাদ, সুব্রত রায়, বিপুল মন্ডল, পুলক চৌধুরী, জহির হোসেন, মো. আওলাদ হোসেন, আমিন উদ্দিন, গোবিন্দ সাহা, সেলিম রেজা, ইয়ার্ণ মার্চেন্ট এর সহ সভাপতি আব্দুল মান্নান মিয়া, নজরুল ইসলাম, ফরহাদ, আমিন উদ্দিন, আইয়ুব আলী, মোঃ সেলিম, সমির সাহা ও রুহুল আমিন ও কারাগারে আটক কুক্ষাত সূতা চোর চক্রের হোতা তোতা পুত্র মামুন ।

এর মধ্যে হাজী ইসমাইল ও ফরহাদ এবং মামুনকে উভয় মামলায় আসামী করা হয়েছে।
মামলা দায়ের আগে কয়েকদফা অভিযান চালিয়ে ঢাকা রাজস্ব বোর্ড দুইবার অভিযান চালিয়ে কয়েক কোটি টাকার মূল্যের সূতা জব্দ করে। সেই ধারাবাহিকতায় পুরো সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ওই মামলা দায়ের করা হয়।
নাম প্রকাশ না কার অনুরোধে শহরের টানবাজার এলাকার কেয়েকজন ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বন্ডের এই সূতা ছাড়াও বিনা শুল্কে বিদেশ থেকে আমদানী করা রপ্তানীর জন্য বিভিন্ন পন্ন সামগ্রী দেশী বাজারে বিক্রি করে বিশাল রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে এই চক্রটি । যাদের অনেকেই স্থানীয় থানা পুলিশের অসাধু কর্মকর্তা ছাড়াও রাজস্ব কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই বছরের পর বছর যাবৎ অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে । এই সূতা চোরেই কারবারীদের বিরুদ্ধে যতই মামলা হউক তাদের নেপথ্যে রয়েছে অসাধু কর্মকর্তারা । মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে এই চক্রটি এই মামলা থেকে রক্ষা পেতে চালিয়ে যাচ্ছে জোড়ালো তদ্বির । সূতা চোর চক্রের হোতাদের মধ্যে অধিকাংশরাই বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার বাসিন্দা হওয়ার কারণে অনেক প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ব্যাপক তদ্বির চালাচ্ছেন বলেও চাউর রয়েছে নগরজুড়ে ।
# সুতার ব্যবসার আড়ালে বন্ড সুতার শক্তিশালী বেশ কয়েকটি সিন্ডিকেট চক্র
# পুলিশের কতিপয় কর্মকর্তারা এই সেক্টর থেকে মাসোয়ারা পাচ্ছেন
দেশের অন্যতম সুতার বাজার হলো নারায়ণগঞ্জের টানবাজার। টানবাজারে বেশ কয়েকটি সিন্ডিকেট চক্র প্রতিদিন অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার বন্ড সুতা বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিনই ট্রাক যোগে টানবাজারে আসছে তাঁতীদের জন্য শুল্ক রেয়াত সুবিধায় আনা সুতা। আর টানবাজার থেকে সেই সুতা ছড়িয়ে যাচ্ছে সাড়া দেশে ।
গত দুই বছর আগে বেশ কয়েকবার তাঁতী সমিতির নামে আমদানি করা বন্ডের সুতা অবৈধ ভাবে বিক্রি করায় টানবাজারে অভিযান চালিয়েছিল ডিবি পুলিশ। অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ প্রশাসনের কতিপয় কিছু অসাধু কর্মকর্তারা এই সেক্টর থেকে মাসোয়ারা পাচ্ছেন। আর রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা গুলো পুনঃ রপ্তানির শর্তে শুল্কমুক্ত সুবিধায় পণ্য আমদানির সুযোগ পায়।
এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী এসব শুল্কমুক্ত কাঁচামাল বা পণ্য এনে অবৈধভাবে অপসারণের মাধ্যমে টানবাজারে বিক্রি করছে। প্রশাসনকে মাসোয়ারা দিয়ে ম্যানেজ করেই টানবাজারে সুতার ব্যবসার আড়ালে গড়ে উঠেছে বন্ড সুতার শক্তিশালী বেশ কয়েকটি সিন্ডিকেট চক্র।
সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জে খোলা বাজারে অবৈধভাবে বন্ডের সুতা বিক্রির অভিযোগে তিন কোটি টাকা মূল্যের ২২ টন সুতা জব্দ করেছিল ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট কার্যালয়। শহরের সুতারপাড়া এলাকায় সাদ ট্রেডার্স ও আজাদ ট্রেডার্সের গুদামে এ অভিযান চালিয়েছিলেন সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের সিআইডি পুলিশ ও কাস্টমস বিভাগ এ অভিযানে সহায়তা করেছিল। এর আগে টানবাজারে বন্ডের সুতা অবৈধ ভাবে বিক্রি করা হলেও কোন সংস্থাই অভিযান পরিচালনা করেনি। অথচ প্রতিদিনই বিক্রি হচ্ছে বন্ডের সুতা। এদিকে রেয়াত সুবিধায় আমদানি করা সুতার সঙ্গে অসম প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে দেশীয় সুতার মিলগুলোয় সুতার স্তুপ জমছে।
শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা সুতায় সয়লাব টানবাজারের সুতা আড়ৎ গুলোতে। অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে বন্ড সুবিধার আমদানি করা সুতা। আর এই প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে ক্ষতির মুখে পড়ছে দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান। তবে টানবাজার ছাড়াও দেশে আরো বেশ কয়েকটি স্থানে বন্ডের সুতা বিক্রি হচ্ছে।
সূত্রে আর জানা গেছে, স্বাধীনতার পর দেশে তাঁত শিল্পের ব্যাপক প্রসার লাভ করে।
সে সময় তাঁত শিল্পের সুতা সরবরাহের জন্য পর্যাপ্ত স্পিনিং মিল ছিল না। দরিদ্র ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল তাঁতিদের বিটিএমএ’র পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ সুতা সরবরাহ করা হতো, যা দিয়ে তাঁতীরা গামছা, লুঙ্গি ও তোশকের কাপড়সহ মোটা কাপড় বানাতেন। তাঁতী সমিতির নেতাদের বেশিরভাগই রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। তারা সুতার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
যদিও তাঁতের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা নেই। কিন্তু তাঁতীদের নাম ভাঙিয়ে দেদার সুতা, রাসায়নিক আমদানি করছেন তারা। এক্ষেত্রে শুল্ক ফাঁকি দিতে আমদানি করা সুতার দামও কম দেখানো হচ্ছে।
একদিকে আমদানি পর্যায়ে শুল্ক ফাঁকি দেয়ার কারণে সরকার ন্যায্য রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে খোলাবাজারে বিক্রির কারণে সেখান থেকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। অথচ নারায়ণঞ্জের গরিব অসহায় তাঁতীরা প্রকৃতপক্ষে সরকারি এসব সুবিধা পাচ্ছেন না।
টানবাজারের বেশ কয়েকজন সুতা ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, টানবাজারের সুতা ব্যবসার সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে বন্ডের সুতা খোলা বাজারে আসা। বিভিন্ন গার্মেন্ট কারখানায় ব্যবহারের জন্য আনা এলসির সুতা খোলা বাজারে বেচাকেনা হওয়ায় টানাবাজারে দেশী সুতা ব্যবসায়ীরা মার খাচ্ছেন। বাংলাদেশের স্পিনিং মিলগুলোয় যে সুতা উৎপাদন হয়, তা দিয়ে চাহিদা মেটানোর পর আরো উদ্বৃত্ত থাকে।
কিন্তু কতিপয় আসাধু ব্যবসায়ী ব্যাক টু ব্যাক এলসির জন্য আনা সুতা চোরাইপথে টানবাজারে বিক্রি করছে। আর ব্যাক টু ব্যাক এলসির সুতা মানের দিক থেকে কিছুটা উন্নত হওয়ায় তাঁতীরা তা ব্যবহার করছেন। ফলে দেশী মিলগুলো লোকসান গুনছে।
তারা আরও জানান, টানবাজারের ব্যবসায়ীরা মূলত বিভিন্ন স্পিনিং মিলের সুতা বেচাকেনা করে থাকে। কিন্তু মিলগুলো সরাসরি ক্রেতা প্রধান এলাকায় শো-রুম খুলে ব্যবসা করায় আমাদের কিছুটা বিপাকে পড়তে হয়েছে। অন্যদিকে বন্ডের সুতা খোলা বাজারে চলে আসায় দেশিয় সুতা মার খাচ্ছে। বন্ডের সুতা খোলা বাজারে বেচাকেনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
কিন্তু তারপরও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বন্ডের সুতা খোলা বাজারে এনে বিক্রি করে দিচ্ছে। তবে আমরা বিষয়টি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বারবার অবহিত করা হলে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলেও তারা ক্ষোভ প্রকার করেন।









Discussion about this post