নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর চর সৈয়দপুরের কয়লা ঘাট এলাকার জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনায় জেলা প্রশাসনের ছয় সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রোববার (২০ মার্চ) রাতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শামীম বেপারীকে প্রধান করে এই কমিটি করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মোহাম্মদ শামীম বেপারী সাংবাদিকদের বলেন, নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনায় আমাকে প্রধান করে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে প্রত্যেক মরদেহ দাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এরই মধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি। জেলা প্রশাসক আমাদেরকে কালকের মধ্যেই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলেছেন।
এছাড়া এই লঞ্চডুবির ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে কমিটিকে। রোববার কমিটি গঠন করে মন্ত্রণালয় থেকে অফিস আদেশ জারি করা হয়।
এদিকে, দুর্ঘটনার পর ধাক্কা দেওয়া কার্গো জাহাজ এমভি রূপসী-৯ আটক করেছে নৌ পুলিশ। দুপুরে চর সৈয়দপুরের কয়লা ঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনার পরেই ওই কার্গোটি মুন্সিগঞ্জের হোসেনদী ডকইয়ার্ডে নোঙর করা হয়। পুলিশ সেখান থেকে কার্গোটি আটক করে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল আলম বলেন, মুন্সিগঞ্জের হোসেনদী ডকইয়ার্ড থেকে জাহাজটি আটক করা হয়েছে। জাহাজের মাস্টার ও ড্রাইভার পালিয়ে গেছে। তবে অন্য স্টাফদের আটক করা হয়েছে।
অন্যদিকে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শীতলক্ষ্যায় কার্গোর ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনায় ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন হাসপাতালে মারা গেছেন। বাকিদের মধ্যে দুইজন নারী, একজন পুরুষ ও দুই শিশু। দুপুরে চর সৈয়দপুরের আল আমিননগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শতাধিক যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনাল থেকে এম ভি আশরাফ উদ্দিন নামে একটি লঞ্চ মুন্সিগঞ্জ যাওয়ার পথে এমভি রূপসী-৯ নামে কার্গো সেটিকে ধাক্কা দেয়। কার্গোটি ওই লঞ্চকে ঠেলে অনেক দূর নিয়ে যায়। এতে লঞ্চটি মুহূর্তেই ডুবে যায়।









Discussion about this post