মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে নারায়ণগঞ্জের কুখ্যাত রাজাকার গোলাম রাব্বানী খানের তৎকালীন এবং মৃত্যুর আগ মুহুর্ত পর্যন্ত সময়ের সকল কর্মকন্ড সর্বজন স্বীকৃত । নগরীর প্রায় সকলেই গোলাম রব্বানী খানের যুদ্ধকালীন অপরাদের ফিরিস্তি জানেন । সেই ইতিহাস পাল্টে দিতে এবার নতুন করে নাটক মঞ্চায়ন করেছেন কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার বিপথগামী কর্মকান্ডে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে নগরজুড়ে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার খোদ মুক্তিযোদ্ধা দাবীদার মোহাম্মদ আলীকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে :
# গোলাম রব্বানী নন্দিপাড়ায় কয়েকজন হিন্দুর সম্পত্তি লুটপাট করেছে
সন্ত্রাস-নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহবায়ক সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব রফিউর রাব্বি বলেছেন, গোলাম রব্বানী নন্দিপাড়ায় কয়েকজন হিন্দুর সম্পত্তি লুটপাট করেছে। আজিজ সর্দারকে ব্যবহার করে তারা নারায়ণগঞ্জে শান্তি বাহিনী গঠন করেছে। যে আজিজ সর্দারকে মুক্তিযোদ্ধারা ’৭২ সালে হত্যা করেছে। আজকে যারা গোলাম রাব্বানীকে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় আমরা তাদের কাছে জানতে চাই আপনারা কবে কখন কোথায় মুক্তিযুদ্ধ করেছেন।
বিশেষ করে মোহাম্মদ আলিকে জিজ্ঞেস করতে চাই আপনি কবে কোথায় কখন কি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন ? আমরা জানতে চাই। জেনে কৃতার্থ হতে চাই। আপনারা যারা একজন রাজাকারকে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী হিসেবে স্বীকৃতি দলেন আপনারা কতটা মুক্তিযোদ্ধা সেটি জানার অধিকার আমাদের রয়েছে। আপনারা জানান আপনারা কবে কোথায় কখন কি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন।
কারন আপনাদের অনেকের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কেও প্রশ্ন রয়েছে। আপনারা ৭২ সালে কে কে কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট নিয়েছেন, বানিয়েছেন সেটিও আমাদের অনেকের জানা আছে। সুতরাং মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার হয়ে গেছেন তাই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আপনারা লিখে ফেলবেন এই ধৃষ্টতা কিভাবে আপনাদের হয় ? আপনারা কেউ অমর হয়ে আসেন নাই।
মৃত্যুর পর আপনাদের নাম কে কিভাবে নেয় এখন থেকেই সতর্ক হোন। যাতে দালাল হিসেবে আপনাদের নাম চিহ্নিত না হয়। যাতে মৃত্যুর পর কেউ আপনাদের দালাল না বলতে পারে। বলতে না পারে যে একজন দালালের মৃত্যু হলো। তিনি বলেন, যারা নারায়ণগঞ্জে শহীদ হয়েছে তাদের তালিকা আমরা তৈরী করতে চাই। উদিচী এটি শুরু করেছে।
তারা এর মধ্যেই তিশ শহীদের তালিকা সংগ্রহ করেছে। গতকাল রবিবার দুপুর একটায় নগরীর মাসদাইরে অবস্থিত প্রতিরোধ স্তম্ভে ‘মুক্তিযুদ্ধ-প্রথম প্রতিরোধ নারায়ণগঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। ভবানী শংকর রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হালিম আজাদ, জেলা বাসদ সমন্বয়ক নিখিল দাস, কমিউনিষ্ট পার্টি নেতা দুলাল সাহা প্রমুখ।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ দেশের প্রথম সশস্ত্র গণপ্রতিরোধ হয় নারায়ণগঞ্জের মাসদাইরে। প্রতিরোধের কারনে ২৫ মার্চ রাতে ঢাকার ক্র্যাক ডাউন হলেও পাকিস্তানী বাহিনী নারায়ণগঞ্জে প্রবেশ করতে পারেনি। ২৭ মার্চ ভোরে পাকিস্থানী বাহিনী নারায়ণগঞ্জে প্রবেশ করে। এসময় তারা মাসদাইর এলাকার ৩৩ জনকে হত্যা করে। তবে এ শহীদরা এখনো রাষ্ট্রীয় স্বিকৃতি পাননি। শহীদদের স্মরণে একই স্থানে ৩৩ শহীদ পরিবার কল্যান সমিতিও একটি স্মরণসভা ও মিলাদ মাহফিল আয়োজন করে।








Discussion about this post