রমজান ও ঈদকে সমানে রেখে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ের পাশের অংশে রিক্সালেন ও ফুটপাতের অবৈধ তিনশত দোকান উচ্ছেদ করার পর ফের আবার দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজির চালাচ্ছে লিটন ওরফে হাতুড়ি লিটন। ফুটপাত দখল করে দোকান বসিয়ে প্রতিদিন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও রাজনীতিবিদদের নাম ভাঙিয়ে চাঁদা তুলছে জুলহাস উদ্দিন লিটন ওরফে ‘হাতুড়ি লিটন নামে এক চাঁদাবাজ।
এমন সংবাদ প্রচারের পর আরো পুরোদমে ১০/২০/৫০ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়ে দোকান বসানোর পাশাপাশি চাঁদাবাজির মহোৎসব চালাচ্ছে ‘হাতুড়ি লিটন’ ও তার নিয়ন্ত্রিত বাহিনী ।
হাইওয়ে পুলিশ, থানা পুলিশের মুন্সীর মাধ্যমে এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগের কেরানীর মাধ্যমে উর্ধতন কর্তাদের মাঝে দৈনিক দোকানগুলো থেকে উত্তোলিত টাকা মাসে ১৭ থেকে ১৮ লাখ টাকা বন্টন হওয়ার কারণে স্থায়ীভাবে রিক্সা লেন লিটনের কবল থেকে মুক্ত হচ্ছে না।
সওজ এবং পুলিশ উচ্ছেদ করার পর পরক্ষণেই ঐ রিক্সালেন লিটন বাহিনী দখল করায় একে পুলিশের সাথে লিটন বাহিনীর টম এন্ড জেরীর নাটক নামে অবহিত করেছেন শিমরাইলের একাধিক মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফুটপাতের অবৈধ দোকানের মালিকদের পুলিশ তথা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের নামে ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে লিটন ওরফে হাতুড়ি লিটনের লোকজন।
তারা আরও জানান, এক সময় মুরগি রিপন চাঁদা উত্তোলন করলেও চাঁদাবাজীর মামলা খাওয়ার পর এখন রিপন আসে না এখন নতুন করে লিটন বাহিনী পুলিশের নামে চাঁদা তুলছেন। লিটন ওরফে হাতুরি লিটন নামে এক চাঁদাবাজ তার নিয়োজিত ভাই হিরন, ভাতিজা যুব, হাবীব, তাহেরুল সহ আরো ২০-২৫ জন কিশোর গ্যাং দিয়ে পুলিশের নামে চাঁদা তুলছেন। তাদের পাশাপাশি এ ফুটপাতে এক শ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তি, তিন জনপ্রতিনিধির সহযোগী ও স্থানীয় চাঁদাবাজরা এসব দোকানপাট থেকে দৈনিক ২০০ থেকে ৫০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে। দোকান প্রতি ১ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অগ্রিম নেয় সংঘবদ্ধ এ চাঁদাবাজ চক্র।
রিক্সা লেনের ফুটপাত থেকে চাঁদা উত্তোলনের ব্যাপারে চাঁদাবাজ ‘হাতুড়ি লিটন জানান, তার উত্তোলিত চাঁদার পরিমান সামান্য। এ চাঁদার একটি অংশ পুলিশ, প্রশাসনের একাধিক ব্যক্তি ও স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিককে দিয়ে সন্তষ্ট করেন বলে জানান লিটন । এতে তার অনেক টাকা খরচ হয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। বাকী টাকা এক মার্কেটের মালিক ও তিন জনপ্রতিনিধি ও তার সহযোগীদের মধ্যে দিয়ে তার অল্প কিছু টাকা লাভ থাকে বলে মন্তব্য তার।
এদিকে গত মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) শিমরাইল মোড়ের ফুটপাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন শতাধিক দোকান উচ্ছেদ করে। তবে পুলিশ স্থান ত্যাগ করার কিছুক্ষণ পরই চাঁদাবাজ হাতুড়ি লিটনবাহিনী রিক্সা লেনের ঐ জায়গা তার দখলে নিয়ে নেয়। সে থেকে অদ্যবধি পূর্বের ন্যায় হাতুড়ি লিটন চালিয়ে যাচ্ছে তার চাঁদাবাজী।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান মানিক জানান, পুলিশের নাম ভাঙিয়ে চাঁদা আদায় করা হয় তা জানতাম না। তবে যারা পুলিশের নাম ভাঙিয়ে চাঁদা আদায় করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিদ্ধিরগঞ্জে কোনো চাঁদাবাজদের কোনো ঠাঁই হবে না।









Discussion about this post