নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে জনসাধারণর জন্য বরাদ্দকৃত সাবমারসিবল পাম্প নিজের দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এনায়েত হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। ওই ব্যবসায়ী টাকার বিনিময়ে বেশ কয়েকটি বাড়িতে পানি সরবরাহ করছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি জেলা পরিষদ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এনায়েতের বাড়ির সামনেই নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ২ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি সাবমারসিবল পাম্প স্থাপন করা হয়। পাম্পটি সাধারণ মানুষের সুপেয় পানির সংকট নিরসনে স্থাপন করা হলেও সে পানি নির্দিষ্টভাবে সাত থেকে আটটি পাইপ দিয়ে প্রায় ৪০টির বেশি বাসাবাড়িতে সরবরাহ করা হয়।
আরও জানা যায়, পাইপ দিয়ে সাপ্লাই দেওয়া প্রতিটি বাড়ি থেকে মাসে আটশ থেকে এক হাজার করে টাকা উত্তোলন করেন এনায়েত। মিজমিজি পাইনাদী পশ্চিম ও খালের পশ্চিম পাশের আক্তার, সাইদুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, আক্তার, মনির, আমিরুল, এমরান, আবুল, মুক্তুলের বাড়িতে এবং হেকিমের ছোটভাই মতিনের ভাড়াকৃত কার্টন ফ্যাক্টরিসহ কয়েকজন গ্রাহক রয়েছে তার।
জনসাধারণের জন্য জেলা পরিষদের দেওয়া সরকারি সাবমারসিবল পাম্পটি তিনি নিজের বাড়ির সামনে স্থাপন করান। মিজমিজির মতিন ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় বসানো পানির এ পাম্পটি প্রথমে কয়েক দিন জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকলেও পরে তা দখলে নেন এনায়েত হোসেন।
বিষয়টি স্বীকার করে ব্যবসায়ী এনায়েত মিয়া বলেন, আমাকে জেলা পরিষদ থেকে পানির পাম্প বসানোর জন্য নব্বই হাজার করে দুই ধাপে এক লাখ আশি হাজার টাকা দিয়েছে। কিন্তু নামফলকে দুই লাখ টাকার কথা উল্লেখ আছে। আমি এক বছরে দুইটা চেকের মাধ্যমে টাকা পেয়েছি। এর মধ্যে এক চেক আনতে আমার পনেরো-বিশ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কর্মকর্তাদের টাকা দিতে হয়েছে। জেলা পরিষদের দুই লাখ টাকার মধ্যে চল্লিশ-পঞ্চাশ হাজার টাকা কম পেয়েছি। কিন্তু পাম্প বসাতে খরচ হয়েছে আড়াই লাখ টাকা। পানির লাইন খুলে ফেলছি, ঈদের পর পুনরায় খুলব।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের বসানো পাম্প থেকে কোনোভাবেই পাইপ দিয়ে সংযোগ দেওয়া যাবে না। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।









Discussion about this post