“বাবু ও আলমের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে, বাবু আলমের বহিস্কার চাই বহিস্কার চাই । বাবু আলমের কালো হাত ভেঙ্গে দাও গুটিয়ে দাও । বাবু আলমের মদদদাতা সাংবাদিক সালামের কালো হাত ভেঙ্গে দাও গুটিয়ে দাও । বাবু আলম ছাড়াও সাংবাদিক আবদুস সালাম ১২ বছর যাবৎ চুষে খেতে খেতে স্কুলের বারোটা বাজিয়েছে ।” এভাবেই কোমলমতি শিশু কিশোর শিক্ষার্থীরা সাংবাদিক সালাম, সরকার আলম ও ওয়াহেদ সাদত বাবুর বিরুদ্ধে কঠোর ভাষায় আন্দোলনে মেতে উঠে
এভাবেই নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষককে লাঞ্ছনার ঘটনায় আবারো বিক্ষোভ হয়েছে । ১৩ এপ্রিল বুধবার সকাল ১১টা হতে দুপুর পর্যন্ত স্কুল প্রাঙ্গনে ওই বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থী। বিকেল ৩টায় নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার ঘটনাস্থলে গিয়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এদিন শ্রেনির কার্যক্রম বর্জন করে কর্মবিরতি পালন করেন স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকেরা।
স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, ‘ভর্তি বাণিজ্য নিয়ে পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। এর সূত্র ধরে গত ১০ এপ্রিল দুপুরে নতুন করে ১৮৩ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন শ্রেনিতে স্কুলে ভর্তি নেওয়ার বিষয়ে তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই তালিকায় সুপারিশ করা পরিষদের অভিভাবক প্রতিনিধি সরকার আলম ও ওয়াহেদ সাদত বাবুর সুপারিশ করা শিক্ষার্থীরা বাদ পড়ে। এ নিয়ে ওইদিন গণিত শিক্ষক মাহাবুবুর রহমানের সঙ্গে বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের বাকবিতন্ডা হয়। এসময় কয়েকজন অভিভাবক ক্ষিপ্ত হয়ে মাহাবুবুর রহমানকে ধাক্কা দেয় ও গালাগালি করে।’
ওই ঘটনার জের ধরে ১১ এপ্রিল স্কুল প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ হয়। সেদিন ছাত্ররাা ঘটনার জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময় বেধে দিয়ে দুই অভিভাবক সদস্যের বহিস্কার দাবী করেন।
ঘোষণা মোতাবেক ১৩ এপ্রিল সকাল ১১টা হতে বিক্ষোভ শুরু হয়। এদিন শিক্ষকেরা ক্লাস বর্জন করে। অপরদিকে স্কুলের মাঠে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে শিক্ষার্থীরা।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার বলেন, ‘আমরা অভিযোগ শুনেছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখে স্কুলের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছি। এখনও কোন তদন্ত কমিটি করা হয়নি। ঊর্ধ্বতনদের জানানো হবে। তবে অপরাধী যেই হোক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’









Discussion about this post