৪৮ ঘন্টা ব্যবধানে আবারও এক টেবিলে বসে ইফতার করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
বুধবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তারা এক টেবিলেই বসেন। তাদের মধ্যে কোনো কথা হয়নি বলে জানিয়েছেন ইফতার মাহফিলে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
ইফতারে আইভী ও শামীম ওসমানের সঙ্গে একই টেবিলে আরও উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল আলম ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারহানা ফেরদৌস।
এর আগে গত ১৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইনসে পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও শামীম ওসমান এক টেবিলে বসেছিলেন। ইফতারও করেছিলেন একই সঙ্গে। কিন্তু সেদিনও তাদের মধ্যে কোনো কথা হয়নি বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
স্থানীয় রাজনীতিবিদরা জানান, ১৯৭৩ সাল থেকে আইভীর বাবা পৌর পিতা আলী আহম্মেদ চুনকা ও শামীম ওসমানের বাবা সামসুজ্জোহা থেকে বিরোধ শুরু। বর্তমানেও সেই বিরোধিতার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন তাদের সন্তানরা।
আইভী ও শামীমের বিরোধ মেটানোর জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ থেকে অনেকবারই চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কোনো সময়ই তারা সফল হতে পারেনি। কিছুদিন নীরব থাকলেও ফের তারা সেই বিরোধপূর্ণ অবস্থানে চলে যান।
২০১১ সালে প্রথম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আইভীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে লক্ষাধিক ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন শামীম ওসমান। এরপর থেকে তাদের বিরোধ আরও এক ধাপ এগিয়ে যায়। ২০১৩ সালে চাঞ্চল্যকর ত্বকী হত্যায় এ বিরোধ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় নির্বাচনে প্রকাশ্যেই আইভীর মনোনয়ন বিরোধিতা করে মাঠে নামেন শামীম ওসমান। এ নির্বাচনেও জয়ী হয়েছিলেন আইভী। সর্বশেষ ২০২২ সালের নির্বাচনেও আইভী জয়ী হন।









Discussion about this post