হৃদয়স্পর্শ করা ৩৪ মানুষের তাজা হাস্যোজ্জ্বল প্রাণ মুহুর্তের মধ্যে সলিল সমাধি ঘটিয়ে কার্গো জাহাজ এসকেএল-৩ দ্রুত পালিয়ে গিয়ে জাহাজের পুরো রঙ পাল্টানোর ঘটনা উল্লেখ ই করা হয় নাই মামলার চার্জসীটে । এমন অভিযোগপত্রকে অসম্পূর্ণ বলেছেন কয়েকজন আইনজীবী ও আদালত সংশ্লিষ্ট কর্তারা !
শীতলক্ষ্যায় কার্গো জাহাজ এসকেএল-৩’র ধাক্কায় এমএল সাবিত আল হাসান লঞ্চ ডুবে ৩৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। বাদীর আপত্তি না থাকায় এজাহারভুক্ত ১১ আসামির নাম বাদ দিয়ে মাস্টারসহ তিনজনকে দায়ী করে দাখিল করা অভিযোগপত্রটি আদালতে গৃহীত হয়।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুন্নাহার ইয়াসমিনের আদালতে শুনানি শেষে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে মামলাটি বিচারিক আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২৩ মার্চ অভিযোগপত্র থেকে ১১ আসামিদের নাম বাদ দেওয়ার বিষয়ে মতামত জানতে চেয়ে মামলার বাদীকে তলব করেছিলেন আদালত।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, মামলার বাদী আদালতে হাজির হয়ে তিনজনকে দায়ী করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার দাখিল করা অভিযোগপত্র নিয়ে কোনো আপত্তি নেই জানালে আদালত তা গ্রহণ করে বিচারিক আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদি বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক) বাবু লাল বৈদ্য বলেন, তিনি এজাহারে কাউকে আসামি করেননি। মামলার তদন্তে ওই তিন আসামির নাম এসেছে। আদালত যাঁদের বিচার করার প্রয়োজন মনে করবেন, তাঁদের বিচার করবেন, এতে তাঁর কোনো আপত্তি নেই, সেটি তিনি আদালতকে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ এপ্রিল মুন্সিগঞ্জগামী এমএল সাবিত আল হাসান লঞ্চটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেয় এসকেএল-৩ নামের একটি কার্গো জাহাজ। এ ঘটনায় ৩৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার দুই দিন পর অজ্ঞাতনামা জাহাজসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বেপরোয়া চালিয়ে হত্যার অভিযোগ এনে বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক) বাবুল লাল বৈদ্য বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের আমলি আদালত (ঘ) অঞ্চলে জাহাজের মাস্টার, সুকানি ও ইঞ্জিনচালককে দায়ী করে দ্রুত ও বেপরোয়া চালিয়ে ‘অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ইউনুস মুন্সী।









Discussion about this post